তালাবন্ধ করে রাখেন কেন? সরকারি আমলার বড়সড় চুরি করতে এসে বিফল বাংলোয় মনোরথ হওয়ায় এই প্রশ্ন রেখেছে চোরেরা। অপটু হাতে সে কথা একটি চিঠিতে লিখেও রেখে গিয়েছে তারা। এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে রবিবার মধ্যপ্রদেশের দেবাস জেলার এক সরকারি আমলা ত্রিলোচন গৌড়ের।
তাঁর অভিযোগ, ফাকা বাংলোয় ঢুকে আলমারি ভেঙে ৩০ হাজার টাকা সহ গয়না চুরি করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। আর্থিকভাবে বড়সড় কিছু জুটবে তাদের কপালে, এমনটা ভেবে হানা দিয়েছিল চোরেরা। কিন্তু ফিরতে হয়েছে হতাশ হয়ে। সেই হতাশার ছবি ফুটে উঠেছে তাদের চিঠিতেই। এমনটাই বলছেন ত্রিলোচনবাবু।
ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি ভোপাল, ১১ অক্টোবর—অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে আমলার বাড়িতে এসেছিল তারা। কিন্তু শেষমেশ হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের। সেই হতাশা কিন্তু তারা গোপন রাখেনি।
রীতিমতো চিঠি লিখে সেই হতাশার কথা ব্যক্ত করার পাশাপাশি জানতে চেয়েছে, টাকাই নেই তো, ঘরবাড়ি জানিয়েছেন, চুরির পর ঘর থেকে একটি চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা, ‘যদি টাকাপয়সা নাই থাকে, তবে তালাবন্ধ করার প্রয়োজন নেই কালেক্টর।’
এই চিঠি পড়ে ত্রিলোচনবাবু কাঁদবেন, না হাসবেন? বুঝে উঠতে পারছেন না। বিষয়টি রসিকতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। আলোচনা চলছে আমলাকে চোরদের লেখা চিঠি নিয়ে। এদিকে পুলিশের কাছে এফআইআরে ত্রিলোচন জানিয়েছেন, সম্প্রতি দেবাস জেলার খটেগাওয়ের মহকুমা শাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
রতলামের ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দু’জনেই যে যাঁর কাজের দায়িত্ব পালনে দেবাসের বাংলোবাড়ি বাইরে যান। রবিবার বাংলোয় ফিরে এসে দেখেন, সদর দরজা ভাঙ। ঘরবাড়ির আসবাব সব লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
সেই সঙ্গে আলমারির তালা ভেঙে টাকাপয়সা, গয়নাগাঁটি চুরি হয়ে গিয়েছে। পড়ে রয়েছে চোরেদের চিঠি। তবে চোরেরা আর দরজা বন্ধ করেনি। হাট করে খুলে দিয়ে গিয়েছে ঘরের দরজা।