• facebook
  • twitter
Tuesday, 24 September, 2024

তিন সন্তানে স্বপ্ন দেখলেই জুটবে চাকরি হারানোর দুঃস্বপ্ন

দিল্লি, ২৯ ফেব্রুয়ারি– হম দো হমারে দো৷ এই বাক্য বহুদিন ধরেই ঘুরছে ভারতের অলিন্দে৷ তবুও বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি পার হল বলে৷ জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে গেছে ভারত৷ যা চিন্তার ভাজ ফেলেছে ভারতের কপালে৷ জনসংখ্যায় রাশ টানতে এবার সরকারি চাকরিতে কোপ বসাতে শিলমোহর দেওয়া হল দেশের শীর্ষ আদালত থেকেও৷ তাহলে কিন্ত্ত সরকারি চাকরি পাবেন না৷

দিল্লি, ২৯ ফেব্রুয়ারি– হম দো হমারে দো৷ এই বাক্য বহুদিন ধরেই ঘুরছে ভারতের অলিন্দে৷ তবুও বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি পার হল বলে৷ জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে গেছে ভারত৷ যা চিন্তার ভাজ ফেলেছে ভারতের কপালে৷ জনসংখ্যায় রাশ টানতে এবার সরকারি চাকরিতে কোপ বসাতে শিলমোহর দেওয়া হল দেশের শীর্ষ আদালত থেকেও৷ তাহলে কিন্ত্ত সরকারি চাকরি পাবেন না৷

এমনটাই নিয়ম চালু হতে চলেছে রাজস্থানে৷ তবে আজকের নয়, বহুদিনের পুরনো এই আইন৷ সম্প্রতিই ১৯৮৯ সালের এই আইনে স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও৷ সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহরও দেওয়া হয়৷ এবার থেকে নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে, তারা সরকারি চাকরির জন্য গ্রহণযোগ্য হবেন না৷ এই আইনের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া পিটিশন খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, এই আইন মোটেও বৈষম্যমূলক নয়৷
বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের তরফে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজস্থান সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ ২০২২ সালের রাজস্থান হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “এই আইন নীতির পরিধির অন্তর্গত৷ এতে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন নেই৷”

রাজস্থানে দীর্ঘ সময় ধরেই দুই সন্তানের নিয়ম চালু রয়েছে৷ মামলাকারী রামজি লাল জাট ২০১৭ সালে ভারতীয় সেনা বাহিনী থেকে অবসর নেন৷ এরপরে ২০১৮ সালে রাজস্থান পুলিশে কন্সটেবল পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন৷ কিন্ত্ত রাজস্থান পুলিশ সাবঅর্ডিনেট সার্ভিস রুলস, ১৯৮৯ অনুযায়ী তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয় কারণ ২০০২ সালের ১ জুনের পর তাঁর দুইয়ের বেশি সন্তান হয়েছে৷ তাই তিনি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না৷ অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান রাজস্থান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে যান৷ রাজস্থান হাইকোর্টের তরফেও আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্তকেই বৈধ বলা হয়৷ এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান৷ সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও পরিবার পরিকল্পনা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে একই নিয়মে মান্যতা দেওয়া হয়েছে৷