প্রথমে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন এবং তার পরেই একের পর এক মামলা। এটাই মহারাষ্ট্রের রাজনীতির প্রত্যাহিক খবর।
একনাথ শিন্ডের সরকার গঠন এবং বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জননের পর তা সহজ ভাবে মেনে নেননি গদিচ্যুত মুখ্যমমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। একনাথের রাজ্যাভিষেককে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন গত শুক্রবার।
ওই মামলা মহারাষ্ট্রের চলতি সংকট সংক্রান্ত বাকি মামলাগুলির সঙ্গেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয়।
উল্ল্যেখ, সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের হয় সেখানেও দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্যপদ খারিজের আর্জি করা হয়েছে। স্বভাবতই মামলায় স্পিকারের ভূমিকা আসে।
তবে শুনানির শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে উদ্ধব শিবির। বিধানসভার স্পিকারের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি এমভি রমান্নার বেঞ্চ বলে, শিবসেনার বিধায়কদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা না নিতে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আগে আদালত সব পক্ষের বক্তব্য শুনুক। তারপর স্পিকার তাঁর করণীয় করবেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার মহারাষ্ট্রে চলতি রাজনৈতিক সংকটে নয়া পরিস্থিতি উদয় হয়। বিজেপির স্পিকার রাহুল নরওয়েকরের নির্দেশে রবিবার বিধানসভার সচিব শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের ৫৩জনকে নোটিস পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে তাঁদের ব্যাখ্যা তলব করেন।
তিনি জানতে চেয়েছেন, আস্থা ভোটে নিজের অবস্থানের পক্ষে উপযুক্ত পরিষদীয় ও আইনি কারণগুলি তাঁরা যেন আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যাখ্যা করেন।
সোমবার সর্বোচ্চ আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে বলে স্পিকারকে যেন জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন ব্যবস্থা না নিতে।
স্পিকারকে নিরস্ত্র করতে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন উদ্ধব শিবিরের আইনজীবী কপিল সিব্বল।
দু-পক্ষকেই সচিবের এমন চিঠি দেওয়ার কারণ, শিন্ডে এবং উদ্ধব শিবির, দু-পক্ষই প্রতিপক্ষ শিবিরের বিধায়কদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল। তাই স্পিকারের নির্দেশে ওই নোটিস জারি করা হয়।