• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

আসন্ন বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে এনডিএ-র জরুরি বৈঠক সারলেন নীতিশ কুমার

শরিকদলগুলি ইতিমধ্যে জরুরি আলোচনাগুলি সেরে নিয়েছে, কীভাবে আগামী দিনে তাদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলিকে একজোট হয়ে মোকাবিলা করা যায়।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার। ফাইল চিত্র

বিহারের আসন্ন বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে এনডিএ-র শরিকদলগুলি নিয়ে সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন নীতীশ কুমার। তিনি ফের এনডিএ জোটে ফিরে আসার পরে শরিকদের নিয়ে এটাই সবচেয়ে বড় বৈঠক।

সামনেই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব সহ বিরোধী শিবিরের প্রায় সমস্ত দল মরিয়া হয়ে আছে ক্ষমতা দখলের জন্যে। তাঁরা ইন্ডিয়া শিবিরের ছত্রছায়ায় থেকে তলে তলে রণকৌশল সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। যাতে একটিও বিরোধী ভোট ভাগ না হয়। এরই মধ্যে দলের নেতা কর্মীদের তাতিয়ে রেখেছেন তেজস্বী যাদব ও কংগ্রেস নেতারা। আর ইন্ডিয়া জোটের এই শিবিরকে টেক্কা দিয়ে এবার ক্ষমতায় আসা নীতীশ কুমারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য আগে থেকেই এনডিএ-র শরিকদলগুলিকে একজোট করে নির্বাচনী প্রস্তুতির সলতে পাকিয়ে রাখলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমারের এই জরুরি বৈঠকের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, ২০২৫ সালের আসন্ন বিধানসভা ভোটে নিজেদের রণকৌশল নির্ধারণ করা। বৈঠকে ডাকা হয় জেডিইউ, বিজেপি নেতাদের। এছাড়া ছোট ছোট শরিকদলগুলির মধ্যে রয়েছে রাম বিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চার শীর্ষ নেতারা।

জেডিইউ নেতা নীরজ কুমার বলেন, বিহারে এনডিএ শরিকদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই এই বৈঠক ডাকা হয়। দলের জাতীয় সম্পাদক ও রাজ্যের মন্ত্রী অশোক চৌধরী বলেন,’আমাদের দলের নেতারা ২৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২০০টি আসন দখলের উপরে জোর দিয়েছে। তার জন্য শরিকদলগুলির মধ্যে নিশ্ছিদ্র সমন্বয় খুবই জরুরি। আজকের বৈঠক সেজন্যই ডাকা হয়েছে।’

তবে সূত্রের খবর, এনডিএ সরকারের সাফল্য কীভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা যায় এবং জনগণের সঙ্গে কাছাকাছি পৌঁছনো যায় তা নির্ধারণ করাই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল। এই বৈঠক এমনই একটি সময়ে ডাকা হয়েছে, যখন রাজ্যের চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ২০২৫ বিধানসভা ভোটের আগে এই উপনির্বাচন হল একটি অ্যাসিড টেস্ট। যার মাধ্যমে মানুষের মনের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। এবং সেই মতো আগামী বছর বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।

সেজন্য শরিকদলগুলি ইতিমধ্যে জরুরি আলোচনাগুলি সেরে নিয়েছে, কীভাবে আগামী দিনে তাদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলিকে একজোট হয়ে মোকাবিলা করা যায়। পাশাপাশি, প্রশান্ত কিশোরের নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান এবং ৩১ অক্টোবর আরসিপি সিং কর্তৃক প্রত্যাশিত দল গঠন সহ উদীয়মান রাজনৈতিক দলগুলিকেও কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা যায় সেটা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে জোটের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও বিরোধীদের চাপ সামলানোর জন্য বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।