বেঙ্গালুরু, ২৬ ফেব্রুয়ারি – ভারতে পৌঁছেও ভারতে ঢোকার অনুমতি পেলেন না ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্মীরি পণ্ডিত ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নিতাশা কৌল। কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকার তাঁকে একটি আলোচনাসভায় আমন্ত্রণ জানায়। সেই আলোচনাসভায় অংশ নিতেই ভারতে আসেন তিনি।কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কঠোর সমালোচক কৌলকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি অভিবাসন দফতর। যদিও কৌলের দাবি, তাঁর কাছে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা এবং অন্যান্য নথিপত্র সবকিছুই ছিল।
রাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক নিতিশা তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ১২ ঘণ্টার যাত্রাপথ শেষ করে তিনি লন্ডন থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছন ২৩ ফেব্রুয়ারি। অভিবাসন দফতরের অফিসাররা তাঁকে জানান, দিল্লি থেকে তাঁদের উপর নির্দেশ থাকায় তাঁদের কিছু করার নেই। তিনি জানিয়েছেন, আমার কয়েক দশকের কাজই আমার মনের কথা। অতি ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী, আধা সেনা চরিত্রের আরএসএস সম্পর্কে আমার সমালোচনার জন্যই আমি ভারত সরকারের ব্রাত্য হয়েছি।
দীর্ঘ অভিযোগে কৌল লেখেন, লন্ডন থেকে আমার ১২ ঘণ্টা আসতে লেগেছে। তারপর থেকেই তারা আমাকে এখানে-ওখানে টানাহেঁচড়া করেছে। পরে ওরা আমাকে হোল্ডিং সেলে রেখে দেয়। সেটা এত সংকীর্ণ জায়গা যে শোওয়ার মতো জায়গাও ছিল না। সর্বক্ষণ সিসিটিভির নজরদারি চলছিল। সেখানে খাবার এবং জলের ভালো ব্যবস্থা ছিল না। বহুবার ফোন করেও একটি বালিশ ও কম্বল পাইনি। দীর্ঘ অভিযোগে কৌল লিখেছেন, লন্ডন থেকে ১২ ঘণ্টা আমার আসতে লেগেছে। তারপর থেকে এরা আমাকে এখান থেকে ওখানে টানাহেঁচড়া করেছে। পরে ওরা আমাকে হোল্ডিং সেলে রেখে দেয়। সেটা এত সংকীর্ণ জায়গা যে শোওয়ার মতো জায়গা ছিল না। সর্বক্ষণ সিসিটিভির নজরদারি চলছিল। সেখানে খাবার, জলের সুব্যবস্থা ছিল না। বহু ফোন করেও একটি বালিশ ও কম্বল পাইনি। এরপর আরও ১২ ঘণ্টা কেটেছে লন্ডন ফিরতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়েছে।
কৌলের দাবি, তাঁকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি কেন দেওয়া হল না, তা নিয়ে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর কোনও কারণ জানায়নি। এমনকী আগে থেকেও তাঁকে জানানো হয়নি যে, ভারত সরকার প্রবেশের অনুমতি দেবে না। কর্নাটক সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।