• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করতে গ্রামের পর গ্রাম খালি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, দাবি নিশিকান্তের

হারিয়ে যাবে হিন্দুরা, বাংলা ও বিহারের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি বিজেপি সাংসদের দিল্লি, ২৫ জুলাই– বুধবার সুকান্ত মজুমদারের পর বৃহস্পতিবার নিশিকান্ত দুবে৷ সংসদে দাঁডি়য়ে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ টেনে বড় দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে৷ এর ঠিক একদিন আগেই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি তথা শিক্ষা ও কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত

হারিয়ে যাবে হিন্দুরা, বাংলা ও বিহারের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি বিজেপি সাংসদের
দিল্লি, ২৫ জুলাই– বুধবার সুকান্ত মজুমদারের পর বৃহস্পতিবার নিশিকান্ত দুবে৷ সংসদে দাঁডি়য়ে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ টেনে বড় দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে৷ এর ঠিক একদিন আগেই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি তথা শিক্ষা ও কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন৷
বৃহস্পতিবার সংসদে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তুলে নিশিকান্তর দাবি, ‘হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষায় দেশে অবিলম্বে এনআরসি লাগু করা হোক৷ কারণ বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের কারণে যেভাবে বাংলা ও বিহারের জনসংখ্যার বিন্যাস বদলে যাচ্ছে তাতে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষাই দায় আগামী ভবিষ্যতে৷ সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, বাংলা ও বিহারের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হোক৷’
বিশেষত পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি এই অনুপ্রবেশে দায়ি করে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্ত বলেন, বাংলার মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এবং বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার এই তিন জেলায় হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশিরা৷ এমনকী বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মালদহ ও মুর্শিদাবাদের গ্রামের পর গ্রাম খালি করে দিচ্ছে বলেও সংসদে অভিযোগ করেন তিনি৷ এরপরই বাংলা ও বিহারের এই পাঁচ জেলাকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি জানান তিনি৷
বাংলার সঙ্গেই নিশিকান্ত টেনে আনেন ঝাড়খণ্ডের কথা৷ তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই দাবি, ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা৷ এই পরিস্থিতিতে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস৷ তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাংসদ বলেন, ‘সব জায়গায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ ভোটার বাডে়৷ আর আমার লোকসভা অঞ্চলে বেডে়ছে প্রায় ১২৩ শতাংশ৷ একটি বিধানসভায় ১১৭ শতাংশ মুসলিমের বসবাস বেডে়ছে৷’ কেন্দ্রীয় সরকার যাতে ব্যবস্থা নেয়, সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
সংসদে নিশিকান্তের এই দাবি শোনার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়৷ তিনি বলেন, ‘লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে বিজেপি দিশা হারা হয়ে গিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলছে৷ এই জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না৷’
তৃণমূলের সুরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিএমের আইনজীবী নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও৷ তিনি বলেন, ‘ভোটের সময়ও বিজেপি উগ্র হিন্দুত্বের জিগির তুলেছিল৷ এখনও সেই চেষ্টা জারি রেখেছে৷ আসলে দেশের মানুষের প্রধান সমস্যাগুলি সমাধান না করে নজর ঘোরাতে এসব বলা হচ্ছে৷’
তবে বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া উড়িয়ে দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি দলের সাংসদকে সমর্থন করে বলেন, ‘উনি ঠিক কথায় বলেছেন৷ তাই তো বাংলা সীমান্তের ৭২ টি জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতার লাগাতে দেয়নি মমতার সরকার৷’
এ প্রসঙ্গে বলতেই হয় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথা৷ কয়েকদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, ‘আমার অসমে ৪০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা৷ যেভাবে অনুপ্রবেশ বাড়ছে তাতে আগামীদিনে হিন্দুদের থাকাটাই দুরূহ হয়ে উঠবে৷ এটা আমার রাজনৈতিক ইসু্য নয়, মরণ বাঁচনের লড়াই৷’