• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ভুলে ভরা তথ্য দিলেন নির্মলা সীতারমন

নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন কোনও সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে তৈরি হয়নি। এমনটাই বলার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (File Photo: Twitter/@BJP4India)

নাগরিকত্ব সংশােধনী আইনকে নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। এমনই এক আহবে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে জনমত গঠন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এই আইন কোনও সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে তৈরি হয়নি। এমনটাই বলার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রের মন্ত্রীরা। এমনই এক উদাহরণ দিতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । আদনান সামি ও তসলিমা নাসরিনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী এই তথ্য পেশ করলেও আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে যিনি জন্মসুত্রে পাকিস্তানি। এই পাকিস্তানি গায়ককে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। তাঁকে শুধু ভারতে বসবাসের অনুমােদন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাকিভাবে নির্মলা সীতারমনের মন্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। রবিবার সিএএ নিয়ে চেন্নাইয়ে এক অনুষ্ঠানে নির্মলা সীতারমন বিভিন্ন তথ্য পেশ করতে গিয়ে তসলিমা প্রসঙ্গ আনেন।

এদিন নির্মলা বলেন, ২০১৬ থেকে ২০১৮ এই দু’বছরে আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা ৩৯১ জন মুসলিমকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের শরণার্থী হিসাবে নাগরিত্ব দেওয়া হয়েছে ১৫৯৫ জনকে। এই সময়ের মধ্যে আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে এটা একটা উদাহরণ।

অন্যদিকে, তসলিমা নাসরিনকেও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যই প্রমাণ করে আমাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযােগ মিথ্যে। তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশি লেখিকা। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি তাঁর লেখালেখি ও উপন্যাসে ‘মৃসলিম বিরােধি’ মতবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই অভিযােগ তুলে তসলিমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। পরে অবশ্য তসলিমা সুইডেনের নাগরিকত্ব পান। এরপর তিনি ভারতে বসবাসের আবেদন করেন। তাঁর সেই আর্জি মঞ্জুর করে ২০০৪ সালে তাঁকে শুধুমাত্র ভারতে বসবাসের অনুমতি দেয় কেন্দ্র। যদিও তিনি এখনও ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। 

কিন্তু নির্মলা সীতারমনের মন্তব্যে শােরগােল পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে। এদিকে জন্মসুত্রে পাকিস্তানের নাগরিক সঙ্গীত শিল্পী আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ছয় নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘সিটিজেনশিপ বাই ন্যাচারালাইজেশন’ আদনান সামিকে অনুমােদন দেয় কেন্দ্র। সীতারমন আরও পরিসংখ্যান দিয়ে জানান গত ছয় বছরে ২৮৩৮ জন পাকিস্তানি, ৯১৪ জন আফগানিস্তানি এবং ১৭২ জন বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেক মুসলিম সম্প্রদায়েরও মানুষ রয়েছেন।