দিল্লি, ২৫ জুলাই– মঙ্গলবার বাজেট পেশ করেছে ৩.০ মোদি সরকার৷ সেই বাজেটে ১ কোটি যুবক-যুবতীর ইন্টার্নশিপ নিয়ে বড় ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ বলা হয়, নূ্যনতম পাঁচ হাজার বেতনে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় ইন্টার্নদের নিয়োগ করা হবে৷ তাঁদের বেতনের ৫০০০ টাকা দেবে সরকার৷ এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয় দেশের বড় বড় সংস্থাগুলির মধ্যে বিতর্ক৷ সেই বিতর্কের পরই এবার দু’দিনের মধ্যেই সুর বদল অর্থমন্ত্রীর৷ বৃহস্পতিবার তিনি জানালেন, কোনও সংস্থাকেই ইন্টার্ন অর্থাৎ শিক্ষানবিশ কর্মী নিয়োগে বাধ্য করা হবে না৷ তিনি জানিয়ে দিলেন, ১ কোটি ইন্টার্ন নেওয়ার যে ঘোষণা বাজেটে করা হয়েছে, সেটা কার্যকর করার জন্য কোনও সংস্থাকে চাপ দেওয়া হবে না৷ কিন্ত্ত সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, যদি দেশের সেরা সংস্থাগুলিই ইন্টার্নদের না নেয়, তাহলে যে কর্মসংস্থানের কথা বলছেন অর্থমন্ত্রী, সেটা হবে কী করে? হলেও সেটার মান সঠিক হবে কি?
অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, দেশের সেরা ৫০০ সংস্থায় কোনও ২০২৪ লোকসভায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার সামান্য ধাক্কা খেয়েছে, তার অন্যতম কারণ বেকারত্ব৷ কর্মসংস্থানের অভাব যে সত্যিই বড় সমস্যা, সেটা আর্থিক সমীক্ষায় মেনেও নিয়েছে কেন্দ্র৷ সেই সমস্যা মেটাতে বাজেটে একটি ‘কৌশলী’ ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷
বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন৷ তাঁদের নূ্যনতম বেতন হবে পাঁচ হাজার টাকা৷ বাজেটে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় ইন্টার্নদের নিয়োগ করা হবে৷ তাঁদের বেতনের ৫০০০ টাকা দেবে সরকার৷ কিন্ত্ত ওই ইন্টার্নদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণের খরচ দেবে বেসরকারি সংস্থাগুলি৷
অর্থমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পরই গোটা দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলির প্রথম সারির কর্তারা অভিযোগ করে কেন্দ্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ নিয়ে৷ বেসরকারি চাকরিক্ষেত্রে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়৷ শষমেশ কাজের বাজারকেই প্রভাবিত করবে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেন বিরোধী শিবির থেকেও প্রশ্ন তোলা শুরু হয়৷ এভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইন্টার্ন নিতে বাধ্য করলে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাজের গতি স্লথ হতে পারে৷ বলেই তাদের দাবি৷ সেই বিতর্ক থামাতে বড়সড় ঘোষণা করে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ৷ তিনি জানিয়ে দিলেন, বড় সংস্থাগুলিকে এই ধরনের ইন্টার্ন নিতে বাধ্য করা হবে না৷ তবে সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হবে৷