কেরলে নিপা ভাইরাস আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু, সংস্পর্শে এসেছিলেন ১৫১ জন

এক নিপা ভাইরাস আক্রান্তের মৃত্যু হল কেরলে। ২৩ বছর বয়সী ওই যুবক মলপ্পুরম জেলার বাসিন্দা। রাজ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মৃত যুবকের সংস্পর্শে আসা ১৫১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, এই ১৫১ জনের মধ্যে ৩ জনের শরীরে নিপা ভাইরাসের উপসর্গ মিলেছে। ২৩ বছরের ওই যুবক বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করতেন। ওয়ান্দুরের নাদুভাথের কাছে চেম্বারামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পেরিনথালমান্নার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

চলতি বছর জুলাই মাসে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ওই কিশোরের। বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিল মলপ্পুরমের বাসিন্দা ওই কিশোর। পরে তার শরীরে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করা হয়। চিকিৎসকদের বহু চেষ্টার পরেও বাঁচানো যায়নি ওই কিশোরকে।


এই নিয়ে পাঁচবার কেরলে নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটল। ২০১৮ সালে কেরলে প্রথম হানা দেয় নিপা ভাইরাস। প্রাণ হারান ১৭ জন। ২০১৯ সালে এর্নাকুলামে সংক্রমণ ছড়ালেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ২০২১ সালে নিপা ভাইরাস ১২ বছরের এক কিশোরের প্রাণ কাড়ে। ২০২৩ এও নিপার কারণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল কেরলে।

নিপা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। সেগুলি হল – জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি ও গলাব্যথা। এছাড়া আক্রান্তের শরীরে ঝিমুনি ভাব, শ্বাসকষ্টের মতো আরও নানা উপসর্গ দেখা যায়।

নিপা ভাইরাস মোকাবিলা করা মতো কোনও ওষুধ নেই। এর আক্রমণ প্রতিরোধ করার মতো কোনও টিকাও আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে বিশ্বে এই ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে গড় মৃত্যুর হার প্রায় ৭৫ শতাংশ। কোভিডের মতোই এই আরএনএ ভাইরাস শনাক্ত করার জন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য।

নিপা থেকে বাঁচতে বাজার থেকে কিনে আনা মাংস ভাল করে ধুয়ে ভালোভাবে রান্না করতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে হাত ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল – আক্রান্ত রোগীর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা।