দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানী। এশিয়ার তালিকায় ওপরের দিকেই। বিশ্বেরও সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যেই থাকে মুকেশ অম্বানীর নাম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৮৩৩২১৫ কোটি টাকা। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার দীর্ঘ পরিশ্রম ও কঠিন অধ্যাবসায় দিয়েই আজ সংস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।
বর্তমানে রিলায়েন্স সংস্থা দেশের সবথেকে দামী সংস্থা। রিলায়েন্সের মার্কেট ক্যাপ ১,৭৬,৩০০০ কোটি টাকা। এবার নিশ্চই ভাবছেন যখন সংস্থা এত দামী, তার মালিক মুকেশ অম্বানীর বেতনও নিশ্চই সেরকমই দামি। তবে বাস্তব জানলে আপনি একটু নিরুৎসাহিতই হবেন। রিলায়েন্স সংস্থায় মুকেশ অম্বানী নন, তাঁর থেকে বেশি বেতন পান আরেক কর্মচারী। তিনি হলেন নিখিল মেসওয়ানি।
নিখিল মেসওয়ানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত কর্মী তিনি। তাঁর বেতন ২৪ কোটি টাকা। শুধু মুকেশ অম্বানীই নয়, অম্বানী পরিবারের যে কোনও সদস্যের থেকে বেশি বেতন পান নিখিল । মুকেশ অম্বানীর বেতন ১৫ কোটি টাকা। তবে করোনাকালের পর থেকে এক টাকাও বেতন নেননি মুকেশ অম্বানী।
এবার প্রশ্ন উঠতেই পারে যে কেন নিখিল মেসওয়ানি মুকেশ মুকেশ অম্বানীর থেকে বেশি বেতন পান? পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লিখিল ১৯৮৬ সাল থেকেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে যুক্ত। মুকেশ অম্বানীর ছায়াসঙ্গীও তিনি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এগজেকিউটিভ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তিনি। শুধু রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজই নয়, নিখিল মেসওয়ানি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সঙ্গেও যুক্ত।
তবে নিখিলের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি রসিকভাই মেসওয়ানির ছেলে। রসিকভাই ছিলেন মুকেশ অম্বানীর মেন্টর বা শিক্ষাগুরু। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে যখন যোগ দিয়েছিলেন মুকেশ অম্বানী, তখন ব্যবসার যাবতীয় খুটিনাটি শিখিয়েছিলেন রসিকভাই।
তবে নিখিল কিন্তু অম্বানী পরিবারেরই সদস্য। ধীরুভাই অম্বানীর ভাইপো রসিকভাই। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ যখন তৈরি হয়েছিল, তখন ডিরেক্টর পদে ছিলেন রসিকভাই।