• facebook
  • twitter
Sunday, 27 April, 2025

ভাসুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে শ্বশুরবাড়ির জবরদস্তি, অভিযোগ মায়াবতীর ভাইঝির

শুধু তাই নয়, মায়াবতীর ভাইঝির অভিযোগ, তাঁর ভাসুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যও তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণ চাওয়ার অভিযোগ আনলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর ভাইঝি অ্যালিস। শুধু তাই নয়, মায়াবতীর ভাইঝির অভিযোগ, তাঁর ভাসুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যও তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন অ্যালিস। অ্যালিসের অভিযোগ, তাঁর স্বামীর বন্ধ্যাত্ব থাকায় তিনি সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম। সেই জন্য বংশ রক্ষা করতে তাঁকে ভাসুরের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে জোর করা হচ্ছে। অ্যালিসের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর, ভাসুর-সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন অ্যালিস। পুলিশ এঁদের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্বামীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন অ্যালিস। তাঁরা অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পক্ষে রয়েছেন তাঁর স্বামীও। অভিযোগপত্রে অ্যালিস এ-কথাও জানিয়েছেন যে, বিয়ের আগে তাঁর স্বামী স্টেরয়েডের ইঞ্জেকশন নিতেন। যখন তিনি  জানতে পারেন তাঁর স্বামী সন্তানলাভে অক্ষম, তখন থেকেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান।

বিএসপি-র সর্বময় নেত্রী মায়াবতীর ১০ ভাইবোনের একজন হলেন নরেশ। নরেশের কন্যাই অ্যালিস। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী বিশাল সিংহ হাপুরের ব্যাঙ্ক কলোনি এলাকার বাসিন্দা। অ্যালিসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নগদ এবং গাজিয়াবাদে একটি ফ্ল্যাট হিসেবে দাবি করা হচ্ছিল। তাঁর আরও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি ।

অ্যালিসের শাশুড়ি পুষ্পা দেবীও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক সময়ে তিনি বিএসপির টিকিটে ভোটেও লড়েছেন। অ্যালিসের অভিযোগ, তাঁর পিসির নাম করে পণের টাকা চাইতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, পিসি অনেক টাকা, তাই ৫০ লক্ষ টাকা এবং গাজিয়াবাদে ফ্ল্যাটের বন্দোবস্ত করা তাঁর পক্ষে কোনও কঠিন কাজ নয়। বিয়ের পর, অ্যালিসের স্বামী বিশাল, শ্বশুর শ্রীপাল সিং, শাশুড়ি পুষ্পা দেবী, ভাসুর ভূপেন্দ্র, ননদ নিশা, স্বামীর ছোট বোন শিবানী অতিরিক্ত পণের দাবি করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

অ্যালিস জানিয়েছেন, তিনি যখন তাঁর শাশুড়ি এবং ননদের কাছে বিষয়টি জানান, তখন তাঁরা তাঁকে হুমকি দেন ।এমনকি বিশালের বড় ভাই ভূপেন্দ্রর সাহায্যে সন্তান নিতে বলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। এর পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরই পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। এসপি জ্ঞানঞ্জয় সিংহ জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।