দিল্লি, ৫ মার্চ – জেলের মধ্যে বন্দিদের সন্ত্রাসমূলক কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং আত্মঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র মামলায় মঙ্গলবার ৭ রাজ্যে হানা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ধৃতদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাত রাজ্যের মোট ১৭ টি জায়গায় একসঙ্গে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক-সহ সাত রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। মূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহভাজনদের সঙ্গে এই স্থানগুলির যোগ রয়েছে। এই তল্লাশির পাশাপাশি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরমে ক্যাফে বিস্ফোরণের যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে বেঙ্গালুরু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, অনেক রাউন্ড গুলি এবং চারটি ওয়াকি-টকি পাওয়া গিয়েছিল তল্লাশি অভিযানে। সেই অভিযানে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে চার্জশিটে নাম থাকা জুনায়েদ আহমেদ এবং সলমন খান বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বাকিরা হলেন সৈয়দ সুহেল খান, মহম্মদ উমর, জাহিদ তবরেজ, সৈয়দ পাশা এবং সাদাথ। ৮ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধি , বেআইনি কার্যকলাপ আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন, এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।