করােনা নিয়ে জেরবার অবস্থা সারা বিশ্বের। চিন থেকে ছড়ানাে এই ভাইরাসের দাপটে ত্রাহি অবস্থা মানুষের। এরই মধ্যে আবার নতুন ভাইরাস নিয়ে আশঙ্কার কথা শােনাল আইসিএমআর। ‘ক্যাট কিউ’ নামের এই ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে চিনে।
ইতিমধ্যেই করােনা নিয়ে গােটা দুনিয়া কাঠগড়ায় তুলেছে চিনের উহানের ল্যাবরেটরিকে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলেও দেগে দিয়েছেন। যদিও এই নামকরণে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বেজিং। তবে বিশ্বের অনেক দেশই যেমন চিনকে ক্লিনচিট দিতে রাজি নয় তেমনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষক দলের উৎস-অনুসন্ধান না করে ওঠা পর্যন্ত চিনকে দোষী বলতেও রাজি নয় অনেকে দেশই।
কিন্তু, উৎস যে দেশই হােক না কেন, করােনাভাইরাস যে কত ভয়ংকর গােটা বিশ্ব হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ লক্ষের উপর মানুষের। আমেরিকাতে দু-লক্ষ, ব্রাজিলে দেড় লক্ষ ছুইছুই। ভারতও পেছিয়ে নেই। মৃত্যু লক্ষের ঘর ছুঁতে চলেছে প্রায়। এই ভাইরাসের প্রতিরােধে কার্যকরী টিকা আবিষ্কার হওয়া পর্যন্ত মৃত্যু মিছিল আর কত দিন চলবে বা আরও কত মানুষের প্রাণ যাবে, সে ধারণা কারাের নেই। এহেন পরিস্থিতিতে এক নয়া ভাইরাস নিয়ে ভারতকে ফের সতর্ক করল আইসিএমআর।
যে নয়া ভাইরাসকে নিয়ে আইসিএমআর-এর সতর্কতা সেটির নাম ক্যাট কিউ ভাইরাস। এর উৎপত্তিও চিন। সংক্ষেপে সিকিউভি। যদিও ক্যাট কিউ-এর সাথে মার্জার পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে ক্যাট কিউ ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছে মহারাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরােলজি। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে গবেষণার বিশদ প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নয়া এই ভাইরাসের উৎপত্তি চিন হলেও সারা বিশ্বেই এর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গিয়েছে, কিউলেক্স মশারা এই ক্যাট কিউ ভাইরাসের বাহক। তবে চিন ও ভিয়েতনামে শুকরের মধ্যেও এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। আইসিএমআরের পুনের বিজ্ঞানীরা ৮৮৩ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দু’জনের শরীরে ক্যাট কিউ ভাইরাসের অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পান। আক্রান্তরা কর্নাটকের। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে তাঁদের শরীরে ক্যাট কিউ-এর অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এর অর্থ ভারতেও রােগটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নয়া ক্যাট কিউ ভাইরাসটি কতটা প্রাণঘাতী, করােনার মতাে বিপজ্জনক কি না, সংক্রামিত হওয়ার লক্ষণই বা কী- এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশদ কিছু জানা যায়নি।