• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আম্বানি কাণ্ডে নয়া মােড়, কালাে মার্সিডিজ থেকে উদ্ধার নম্বরপ্লেট, লক্ষাধিক টাকা

জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বােঝাই গাড়ি উদ্ধারের মামলা।

মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। (Photo: IANS)

জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি’র বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বােঝাই গাড়ি উদ্ধারের মামলা। মঙ্গলবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ খোঁজ পায় একটি কালাে মার্সিডিজ গাড়ির। যার ভেতর থেকে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক বোঝাই ওই স্করপিও গাড়ির নাম্বার প্লেট। এছাড়াও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা, কিছু জামাকাপড় ও একটি টাকা গােনার মেশিন। 

তদন্তকারী আধিকারিক অনিল শুক্লা বলেছেন, এনআইএ একটি কালাে মার্সিডিজ গাড়ি উদ্ধার করেছে। সেখান থেকে স্করপিও গাড়ির নম্বর প্লেট, পাঁচ লক্ষ টাকা সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। 

সূত্র অনুযায়ী ধৃত পুলিশ অফিসার শচীন ভাজে ওই গাড়িটি চালাতেন। গাড়ির মালিক কে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার সামনে থেকে একটি বিস্ফোরক বােঝাই একটি স্করপিও গাড়ি উদ্ধার করা হয়। 

গাড়ির ভেতর থেকে একটি হুমকি চিঠিও পাওয়া যায়। আশেপাশে অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন পিপিই কিট পরে একজন ওই গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। গাড়ি থেকে যে চেক শার্ট ও কেরােসিনের বােতল উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের অনুমান, গ্রেফতার হওয়া পুলিশ অফিসার শচীন ভাজেই হয়তাে পিপিই কিট পরে বিস্ফোরক বােঝাই গাড়িটি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে রেখেছিলেন। মার্সিডিজ গাড়ি থেকে যে কেরােসিনের বােতলটি উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি ব্যবহার করেই হয়তাে তিনি তাঁর পিপিই কিট জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। 

রহস্য তৈরি হয়েছে গ্রেফতার হওয়া মুম্বই পুলিশের অফিসার শচীন ভাজের তদন্তের ভূমিকা নিয়েও। উদ্ধার হওয়া স্করপিও গাড়ির মালিক মনসুখ হিরণকে জিজ্ঞাসাবাদের কয়েকদিন পরে তাঁর মৃতদেহ একটি ডােবা থেকে উদ্ধার হয়। এরপরেই মনসুখের স্ত্রী অভিযােগের আঙুল তােলেন তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে। 

তিনি জানান, গত নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন। মনসুখের রহস্যমৃত্যুতেও হাত রয়েছে শচীনের। এনআইএ মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার তুলে নেওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় শচীন ভাজেকে। 

গতকাল তদন্তে জানা যায়, নিজের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজও সাফ করে দিয়েছেন ওই অফিসার। এছাড়াও বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্য নষ্ট করার অভিযােগও উঠেছে শচীনের বিরুদ্ধে।