করোনা রকেটের গতিতে বেড়ে চলেছে। রবিবারই তা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরই সোমবার সকালে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭২৩-এ গিয়ে ঠেকেছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের একাধিক রাজ্যে সোমবার থেকে নয়া বিধিনিষেধ চালু হল। সোমবার থেকে ত্রিপুরায় ফিরে এল রাত্রিকালীন কার্ফু। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চার্ফু চলবে।
আপাতত ১০ দিনের জন্য রাত্রিকালীন কার্ফু চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সীদ্ধান্ত। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে সমস্ত সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ।
শিক্ষা, খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের ক্ষেত্রে, সভাকক্ষে ১০০-র বেশি মানুষ এবং খোলা মাঠে ৩০০-র বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবেন না।
সরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। তবে জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত দফতরগুলি এর মধ্যে পড়বে না।
রাজস্থানে পুরসভা এলাকার সমস্ত স্কুল ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। কিবার করে কার্ফুর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজার দোকান খুলে রাখার সময়সীমা কমিয়েছে রাজস্থান সরকার। রেস্তরাঁ, সিনেমা হলে দর্শকের হার বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দিনভর কার্ফু ছিল তামিলনাড়ুতে। সোমবার থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে রাত্রীকালীন কার্ফু শুরু হচ্ছে। চালু থাকবে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত।
পুদুচ্চেরীতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এমনই চলবে। আগেই রাত্রিকলীন কার্ফু শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে।
রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি মানুষের বাইরে বেরনো নির্দেশ সেখানে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আপাতত শরীরচর্চা কেন্দ্র, স্যালোঁ-তে ৫০ শতাংশ গ্রাহক প্রবেশের অনুমতি। সপ্তাহান্তে কার্ফু ছিল রাজধানীতে।
আপাতত লকডাউন না হলেও, রেস্তরাঁ, বাস এবং মেট্রোর আসনসংখ্যা কমানো নিয়ে আলোচনা নেওয়া হয়েছে দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বৈঠকে।
এই মুহূর্তে দিল্লির রেস্তরাঁগুলিতে ৫০ শতাংশ গ্রাহকের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। তা আরও কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।