ঐতিহ্যশালী সংসদ ভবনের বদলে নতুন করে সংসদ ভবন তৈরির প্রয়ােজনীয়তা কী ছিল? এ নিয়ে বিরােধীদের কড়া আক্রমণের মধ্যে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে। এমনকি শীর্ষ আদালতের সমালােচনার মুখে পড়তে হয় মােদি সরকারকে। বৃহস্পতিবার নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেই সব সমালােচনার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
এদিন দিল্লিতে নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী ঘােষণা করলেন, পুরাতন সংসদ ভবন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং গণতগাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশের সাক্ষী ছিল। আর এই নতুন সংসদ ভবন দেশের ‘আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার সাক্ষী থাকবে।
এদিন নতুন সংসদ ভবনের ভূমি পূজনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরনাে সংসদ ভবনের ঐতিহ্যের কথা শিরােধার্য হলেও পুরাতন এই ভবনের আধুনিকিকরণ প্রয়ােজন।
মােদির কথায়, এই নির্মাণ ১০০ বছরের পুরাতন। অতীতে বহুবার প্রয়ােজন অনুযায়ী সংস্কার করতে হয়েছে। কখনও ভবনের পাঁচিল ঠিক করতে হয়েছে, কখনও সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করতে হয়েছে। অনেক সময় বসার জায়গা বাড়ানাের জন্য দেওয়ালও সরাতে হয়েছে। কিন্তু এই ইমারত এবার জবাব চাইছে। একুশ শতকের নতুন সংসদের প্রয়ােজন। নতুন সংসদ ভবনে অনেক নতুন কাজ করা হচ্ছে, যাতে সাংসদদের কাজের পরিধি বাড়বে, ওয়ার্ক কালচারে আধুনিকতা আসবে।