২১ র আগে লিভ ইনে অভিভাবকের অনুমতি লাগবেই, নির্দেশিকা অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে

১৩ জুলাই– ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী লিভ ইন সম্পর্কে থাকা তরুণ তরুণীদের পরিবারের সদস্যদের সমস্তটা জানাতে হবে৷ অভিভাবকের অনুমদি থাকলে তবেই তারা লিভ ইন সম্পর্কে যেতে পারবেন নচেৎ না৷ এমনটাই জানা যাচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত নিয়মাবলিতে৷

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ন’সদস্যের একটি প্যানেল৷ এই বিধি সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মাবলি নির্ধারণ করছে সেই প্যানেল৷ ইতিমধ্যেই সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে সেই নিয়মাবলী৷ সেখানে লিভ ইন রিলেশনে থাকা যুবক যুবতীদের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষ নিয়ম৷
উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলে লিভ-ইন সম্পর্কে ঘোষণাপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ২১ বছরের কম বয়সী যাঁরা একসঙ্গে থাকতে চান তাঁদের পিতামাতার সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে বলে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে৷ এখানেই শেষ নয়৷ এই ধরনের সম্পর্কের বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন সেই সব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে যাঁরা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হয়েও রাজ্যের বাইরে লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন৷
উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার ক্ষেত্রে গঠিত এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব শত্রুঘ্ন সিং৷ তিনি জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী লিভ ইন সম্পর্কে থাকা তরুণ তরুণীদের পরিবারের সদস্যদের সমস্তটা জানাতে হবে৷ তাঁর কথায়, ‘এটা একটি বিতর্কিত বিষয়৷ ভোটাধিকার থাকলেও এই প্যানেল মনে করে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীরা মানসিকভাবে পরিণত নয়৷ ফলে লিভ ইনে থাকার অনুমতি দিতে গেলে তাদের পরিবারের কাছে সবটা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজনীয়৷ তবেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আওতায় লিভ ইন রিলেশনে থাকা সকলকে আইনি নিরাপত্তা দেওয়া হবে৷’

শত্রুঘ্ন সিং বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন কেবলমাত্র আইনি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই নয়, এর সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে একটি ডেটাবেস৷ ভবিষ্যতের রেফারেন্সের জন্য এই তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কেউ যদি আদালতে চ্যালেঞ্জ করে সে ক্ষেত্রে তথ্য হাতের সামনে থাকবে৷’


উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, আগানী অক্টোবর মাস থেকে সে রাজ্যে কার্যকরী হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি৷ সেই মর্মেই সংশ্লিষ্ট প্যানেল যাবতীয় নিয়মাবলী তৈরি করছে৷ গত ২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল ৭৪০ পাতার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া তুলে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে৷ এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড ক্যাবিনেটে পাশ হয় সেটি৷ বিধানসভায় সেটি পাশ হয় ৬ ফেব্রুয়ারি৷ পরবর্তীতে ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং বিলে স্বাক্ষর করেন৷ মার্চ ১১-তে রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলে৷