সাগরমাতা বৈঠকে মােদি ও ইমরানকে আমন্ত্রণ নেপালের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। (File Photo: IANS)

প্রধানমন্ত্রী মােদি কি আদৌও নেপালের আমন্ত্রণ রক্ষা করে সাগরমাতা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন– এখনও তা নিশ্চিত নয়, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে কোনও বার্তা পাঠানাে হয়নি। পাশাপাশি ইমরান খান ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়।

নেপাল প্রশাসনের তরফে সাগরমাতা সংবাদ ফোরামের প্রথম বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মােদি সহ সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে। নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গায়াওয়ালি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক, জাতীয়ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলাে নিয়ে আলােচনা করা হবে’। তিনি বলেন, পাকিস্তান, চিন সহ সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে। পাশাপাশি ইউরােপীয় দেশগুলির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে।

তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী মােদিকে আমন্ত্রণ জানানাে হয়েছে, কিন্তু তিনি আসবেন কিনা তা নিয়ে জানানাে হয়নি। নেপাল সমস্ত আঞ্চলিক দেশগুলির নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে আগ্রহী। তাদের সকলের উপস্থিতি কাম্য- আঞ্চলিক দেশগুলিকে প্রতিমুহূর্তে যে চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি হতে হচ্ছে তা নিয়ে আলােচনা করা হবে’।


ভারতীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সাগরমাতা বৈঠকের প্রধম অধ্যায়ের থিম ক্লাইমেট চেঞ্জ, মাউনটেস, এন্ড দ্য ফিউচার অফ হিউম্যানিটি’। দু’বছর অন্তর সাগরমাতা বৈঠক হবে।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের নামে আলােচনা সভার নামকরণ করা হয়েছে। মাউন্ট এভারেস্ট বন্ধুত্বের প্রতীক। তিনি বলেন, ‘সাগরমাতা বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল, জলবায়ু সঙ্কট নিয়ে দেশগুলির মধ্যে ঐক্যমত গড়ে তােলা। পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদেরকে সন্ত্রাস দমনে একত্রিত হওয়ার জন্য উজ্জীবিত করে তােলা।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেপাল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে আলােচনার আয়ােজন করতে চলেছে, তা ভারত ও পাকিস্তানের সামনে কূটনৈতিক সুযােগের দরজা খুলে যাবে। কালাপানি সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরােনাে সমস্যা, দুটো দেশের বর্তমান শাসকরা যথেষ্ট ক্ষমতাশালী ও দূরদর্শী। তাঁরা আলােচনা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইস্যুটি সমাধান করবে’। তিনি বলেন, নেপাল আঞ্চলিকতাবাদ ও বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে। আশা করা হচ্ছে, পরিবেশমন্ত্রী, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ, আধিকারিক, বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত থাকবেন।

ভারতকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘নেপাল কোনও দিন নিজের দেশের মাটিকে প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার কতে দেবে না। হিমালয়ের কোলে ছােট্ট দেশটি কোনও বড় খেলায় অংশ নেবে না। ভারত ও পাকিস্তান তাদের সমস্যা আলােচনার মাধ্যমে সমাধান করবে এমনটা আশা। কমপক্ষে আমরা একসঙ্গে আলােচনার টেবিলে বসি, আলােচনা করি।