• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

প্রশ্নফাঁস হয়েছে বটে তবে সেটা স্থানীয় স্তরে, হলফনামা পেশ কেন্দ্রের

নিট-ইউজি শুনানি পিছিয়ে সুপ্রিমে ১৮ জুলাই দিল্লি, ১১ জুলাই– নিট-ইউজি বিতর্কে গোটা দেশ তোলপাড়৷ মামলা রাজ্য ছাড়িয়ে পেঁৗছেছে সুপ্রিম কোর্টে৷ সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে৷ গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের দিকে৷ কিন্তু আপাতত দেশকে কিছুটা নিরাশ করেই স্থগিত হয়ে গেল সেই মামলা৷ আপাতত এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল এই

নিট-ইউজি শুনানি পিছিয়ে সুপ্রিমে ১৮ জুলাই
দিল্লি, ১১ জুলাই– নিট-ইউজি বিতর্কে গোটা দেশ তোলপাড়৷ মামলা রাজ্য ছাড়িয়ে পেঁৗছেছে সুপ্রিম কোর্টে৷ সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে৷ গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের দিকে৷ কিন্তু আপাতত দেশকে কিছুটা নিরাশ করেই স্থগিত হয়ে গেল সেই মামলা৷ আপাতত এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি৷ আগামী ১৮ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে৷ তবে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের কাছে জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কাউন্সেলিং চালুর আনুমতি চেয়েছিল কেন্দ্র৷ যা না দিয়েই শীর্ষ আদালত মামলার শুনানি পিছিয়ে তা করল ১৮ জুলাই৷

নিট কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি৷ কিন্ত্ত মামলাকারীদের বক্তব্য তারা সেই হলফনামার কপি এখনও হাতে পাননি৷ সেই কারণে তাঁদের বাড়তি সময় দিয়েছে আদালত৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূডে়র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এক সপ্তাহের জন্য এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷

নিজের হলফনামায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে বটে তবে সেটা স্থানীয় স্তরে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েনি৷ ফলে তাঁর প্রভাব ব্যাপক হওয়ার কথা নয়৷

বেনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর একপ্রকার চাপের মুখে পড়ে নিট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক৷ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং বাংলাতেও চলেছে তল্লাশি৷ তবে সিবিআইয়ের হলফনামায় দাবি করা হল, প্রশ্নফাঁস হলেও সেটা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েনি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়নি৷ এই হলফনামায় বিরোধীরা যে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করছিল, সেটা খানিকটা লঘু করে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে অব্যবস্থার অভিযোগের তদন্ত হয়েছে৷ আইআইটি মাদ্রাজের বিশেষজ্ঞদের দায়িত্বে এই বিষয়ে যে ‘টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস’ হয়েছে সেই বিশ্লেষণের ফল বলছে যে, নিট-২০২৪ পরীক্ষায় সর্বত্র বা বৃহৎ স্তরে বেনিয়ম হয়নি৷ পাশাপাশি আরও যে একটি অভিযোগ ছিল যে, এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে স্থানীয় বা বিশেষ স্তরে কিছু পরীক্ষার্থীদের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে–সেটিও অমূলক৷ এমন কিছুই হয়নি৷ কেন্দ্রের দাবি, নিট পরীক্ষা বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই৷ পুরো পরীক্ষা বাতিল হলে লক্ষ লক্ষ সৎ পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়বেন৷

আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, এই পরীক্ষা আবার নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে তাঁরা৷ যদিও ফের পরীক্ষার দরকার নেই বলে আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্র৷ আর এনটিএ-র বক্তব্য, পরীক্ষার কোনও প্রশ্নপত্র নাকি হারায়নি, আর পাটনায় কোনও ট্রাঙ্ক ভাঙা হয়েছে এমন খবর তাদের কাছে নেই৷ এদিকে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, দেখতে হবে প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছিল কিনা৷ যদিও এই ঘটনার তদন্তকারী দল সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, স্থানীয় কিছু জায়গায় প্রশ্ন বেরিয়ে গেছিল৷ তবে তার পরিসর অল্প৷ এই আবহে বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের হলফনামা বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ এই মামলায় আগেই কেন্দ্রের তরফে হলফনামা দিয়ে শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই৷

এই আবহে ২০২৪-এর নিট-ইউজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে৷ আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র তরফে ৬ জুলাই থেকে কাউন্সেলিং শুরুর কথা থাকলেও শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

উল্লেখ্য, নিটে বেনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধী শিবির৷ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারাও৷ সরকারও একপ্রকার মেনে নিয়েছিল নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিছু পড়ুয়াকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে৷ পরে সেটা বাতিলও করা হয়৷ ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কাউন্সিলিং৷ সিবিআই নিট কাণ্ডের তদন্ত করে ইতিমধ্যে একাধিকজনকে গ্রেফতার করেছে৷ তাদের মধ্যে ৮ জনকে পাটনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এদিকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, কোথাও কোনও ট্রাঙ্ক থেকে প্রশ্নপত্র গায়েব হয়নি৷ প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি বিশেষ সিরিয়াল নম্বর থাকে এবং তা নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর কাছেই যায়৷ তাঁদের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে কোনও নিয়ম বহির্ভূত কাজ ধরা পডে়নি৷ এমনকী কমান্ড সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ তাতেও কোনও অস্বাভাবিক কিছু ধরা পডে়নি৷