ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এনসিইআরটি) প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। সিবিএসসি তরফে জানানো হয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ন্যাশনাল কাউন্সিলের বই পড়াতেই হবে পড়ুয়াদের। এরইসঙ্গে এটিও বলা হয়েছে যে স্কুলগুলিকে শুধুমাত্র সেই বইগুলিই ব্যবহার করতে হবে, যাতে কোনও আপত্তিকর বিষয় অন্তর্ভুক্ত নেই।
এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, সিবিএসই স্কুলগুলিকেও পাঠ্যপুস্তুক সম্পকে বলা হয়েছে, যদি কোনও স্কুল কোনও প্রাইভেট প্রকাশকের বই বেছে নেয়, তাহলে তাদের পাঠ্যক্রমে এমন কোনও বিষয়বস্তু নেই, তা নিশ্চিত করতে হবে স্কুলকেই। ওই বইগুলোতে যাতে কোনও শ্রেণি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ বা ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য না করা থাকে।
বোর্ড কঠোর নির্দেশ দিয়েছে যে সিবিএসসি অনুমোদিত স্কুলের পাঠ্যক্রমে যে বইগুলি বেছে নেওয়া হবে, তা তাদের ওয়েবসাইটে আপডেট করতে হবে। সেখানে স্কুলের ম্যানেজার এবং অধ্যক্ষ, উভয়কেই নিজেদের স্বাক্ষর-সহ একটি ঘোষণাপত্রও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এদিকে, অধ্যক্ষরা দাবি করেছেন যে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা প্রাইভেট প্রকাশকদের বই পছন্দ করেন, কারণ তাঁরা সন্তানদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। সেখানে এনসিইআরটি-র বই সহজ নয় বলে মনে করা হয়।
স্কুলগুলিকে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিশেষভাবে জোর দিয়ে এনসিইআরটি-এর পাঠ্যপুস্তকগুলি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও তাঁরা স্টেট কাউন্সিলের বইও ব্যবহার করতে পারবে। সন্ধ্যা নায়ারের রিপোর্ট অনুসারে, পূর্ববর্তী স্কুলগুলিতে সমস্ত শ্রেণির জন্য এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তক এবং ব্যক্তিগত প্রকাশকদের মধ্য থেকে বইগুলি নির্ধারণ করার বিকল্প ছিল। সোমবার সিবিএসই দ্বারা জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যে বিষয়গুলির জন্য এনসিআরটি বই পাওয়া যায় না, স্কুলগুলিকে তখন সিবিএসই ওয়েবসাইটে আপলোড করা বইগুলি ব্যবহার করতে হবে।