ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর নিয়ে শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মন্তব্য নিয়ে শরিক দলগুলির (কংগ্রেস ও এনসিপি) মধ্যে জলঘােলা হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে।
সম্প্রতি উদ্ধব মন্তব্য করেছেন, তাঁর রাজ্যে এনপিআর কার্যকর করাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তাঁর এই মন্তব্যেই রুষ্ট হয়েছে অন্যতম শরিক কংগ্রেস। গতকাল দলের পক্ষ থেকে আবারও উদ্ধব ঠাকরেকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তিনি একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এনপিআর’র মতাে অতি স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে তাঁর এই ধরনের একতরফা মন্তব্য আদৌ অভিপ্রেত নয়।
এআইসিসির বর্ষীয়ান সদস্য এবং মহারাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা দেশের কোনও প্রান্তেই এনপিআর কার্যকর হতে দেব না। উদ্ধব ঠাকরে যা বলছেন, তা তাঁর নিজের বিশ্বাস বা মন্তব্য হতে পারে, কিন্তু যতক্ষণ না তিনটি শরিক দল একসঙ্গে বসে এ ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ততক্ষণ উদ্ধব একতরফাভাবে মহারাষ্ট্র সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত এভাবে ঘােষণা করে দিতে পারেন না। আমরা সে কথাটাই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে স্পষ্টভাবে বলব।
তবে বিষয়টি নিয়ে শরিক দলগুলির মধ্যে সমস্যা তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রটি ভিন্ন। শিবসেনা সূত্রে খবর, তাদের নেতা উদ্ধব ঠাকরে যা বলেছেন, তা সবদিক অত্যন্ত ভেবেচিন্তে এবং বিচার করেই বলেছেন। সেই মন্তব্য থেকে সরে আসার বা মন্তব্য প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া শিবসেনা মনে করে এনপিআর লাগু হলে দেশের ও মহারাষ্ট্রের মুসলিমদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ঠিক সেভাবেই এই ইস্যুটি নিয়ে শরিক দলগুলির সঙ্গেও মনােমালিন্য হবে না বলেই তাদের বিশ্বাস।
সােমবার উদ্ধব ঠাকরে সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, তাঁর সরকার এনপিআর-এ কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সংগ্রহ আটকাবে না। কারণ শিবসেনা মনে করে এনপিআর বিষয়টি এনআরসি’র থেকে একেবারেই আলাদা। একই সঙ্গে তা আদমশুমারি প্রক্রিয়াটিরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তার এই মন্তব্যের পরেই বিতর্ক তৈরি হয় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে।