• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

মুম্বইয়ে ফেরির সঙ্গে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত ১৩, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা 

বুধবার মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে 'নীলকমল' নামে একটি ফেরি ডুবে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে জানা যায় ফেরিটিতে মোট ৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫  জন লঞ্চের কর্মী এবং ৮০ জন যাত্রী। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন সাধারণ নাগরিক এবং ৩ জন নৌসেনার কর্মী। নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, ইয়েলো গেট থানা এবং স্থানীয় মাছ ধরার নৌকা গুলির সাহায্যে নিখোঁজ ৫ জন যাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

প্রতীকী চিত্র।

বুধবার মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে ‘নীলকমল’ নামে একটি ফেরি ডুবে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে জানা যায় ফেরিটিতে মোট ৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫  জন লঞ্চের কর্মী এবং ৮০ জন যাত্রী। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১০ জন সাধারণ নাগরিক এবং ৩ জন নৌসেনার কর্মী। নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, ইয়েলো গেট থানা এবং স্থানীয় মাছ ধরার নৌকা গুলির সাহায্যে নিখোঁজ ৫ জন যাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পরে আবার খবর মেলে ১০১ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।  দুর্ঘটনার কারণ এবং যাত্রীদের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়।  

 
মুম্বইয়ের এই দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি বলেন, ‘আমি প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। নৌকাটি বিকেল ৩টে ১৫-র সময় এলিফ্যান্টার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুর্ঘটনার পর ১০১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব করা হয়েছে। ১৩ জনের মৃত্যুর খবর প্রাথমিকভাবে মিলেছে।  ২ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের নৌসেনার হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়েছে। নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং পুলিশ ১১টি নৌকা এবং ৪টি  হেলিকপ্টারের সাহায্যে আটকে পড়া যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার করেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামিকাল সকালে তা বোঝা যেতে পারে।’ স্বজনহারা পরিবারগুলিকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মুম্বইয়ে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে রওনা হয়েছিল একটি যাত্রীবোঝাই লঞ্চ। এরপর হঠাৎই  আরব সাগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লঞ্চটি।   দুর্ঘটনায় ২  জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীদের নিয়েই ডুবতে শুরু করে লঞ্চটি। দুর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকেলে। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চে বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ছিলেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। অন্য একটি সূত্রে খবর পাওয়া যায় , সমুদ্রে ৪ জন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি স্পিডবোট  হঠাৎ  ফেরির দিকে ঘুরে যায় এবং সেটিকে ধাক্কা দেয়।


গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে রওনা হওয়ার পর এলিফ্যান্টা গুহার কাছাকাছি গিয়ে লঞ্চটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী ছাড়াও স্থানীয় মাছ ধরার লঞ্চের সাহায্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা শুরু হয়।

দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে । ওই ভিডিওয় দেখা যায়  একটি লঞ্চ আরব সাগরে ডুবে যাচ্ছে। ডুবন্ত লঞ্চের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট পরে বহু মানুষের ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। লঞ্চের বেশির ভাগই তখন ডুবে গিয়েছে। যে অংশ জলের উপরে রয়েছে, সেখানে আতঙ্কিত যাত্রীরা প্রাণ হাতে করে কোনও রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি  স্পিড বোট এবং অন্য ২টি নৌকায় তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফড়নবীশ জানিয়েছেন, পুলিশ এবং নৌসেনা উভয়েই পৃথক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে।