এবার আরজি কর কাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে চরম অস্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। হাসপাতালের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে পুলিসি সুরক্ষা ব্যবস্থাকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলে শনিবার তার রিপোর্ট পেশ করল জাতীয় মহিলা কমিশন।
কমিশনের সদস্য ডেলিনা খোংধুপ এবং আইনজীবী সোমা চৌধুরি গতকাল, শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের ভিতর ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের তদন্ত-রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এই রিপোর্টে হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাবজনিত গাফিলতিকে চোখে আঙুল দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত রাতে আরজি কর হাসপাতাল একেবারে মুক্তাঞ্চল হয়ে যায়।
মহিলা চিকিৎসা কর্মী যেমন ইন্টার্ন, ডাক্তার, নার্সদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশন অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উপর জোর দিয়েছে রিপোর্টে। কলকাতা পুলিশকে ভর্ৎসনার সুরে কমিশন বলেছে, ঘটনার পরেই পুলিশের উচিত ছিল জায়গাটি সিল করে দেওয়া। প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আর জি কর হাসপাতালের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাওয়া যায়নি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণস্থলের কাছে সংস্কারকাজ শুরু করা তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই। কমিশনের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। খুবই নিম্নমানের সুযোগসুবিধা রয়েছে। সর্বোপরি পুলিশের উপর পুরোপুরি অনাস্থা প্রকাশ করে তদন্তে গাফিলতির বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছে দু-সদস্যের জাতীয় মহিলা কমিশন।
রিপোর্টে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার দিন সম্পর্কে বলা হয়েছে, সেই রাতে কোনও নিরাপত্তা কর্মী ছিল না। শুধু তাই নয়, রাতের ডিউটিতে আবাসিক ডাক্তার, ইন্টার্ন এবং নার্সদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাই পর্যাপ্ত নয়। এই হাসপাতালে মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা খুবই কম। যেমন মেয়েদের ওয়াশরুম-টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। এইসব দিকে কোনও নিরাপত্তার বালাই নেই। এমনকী পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও নেই।