লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) অনিল বাইজাল জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ)-এর আওতায় দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে জরুরি ভিত্তিতে আটক করার ক্ষমতা দিয়েছেন বলে এক বিজ্ঞাপনে জানানাে হয়েছে।
সূত্রের খবর, যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে যে ব্যক্তি জাতীয় সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকর বা হুমকি স্বরূপ, তবে তাকে এক’মাসের জন্য প্রতিরােধমূলক আটক করা যেতে পারে। তিন মাসের জন্য দিল্লিতে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে।
১৯৮০ সালের জাতীয় সুরক্ষা আইনের দফা (সি) ২ ধারার ৩ ধারার উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে পুলিশ কমিশনারকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্দেশ দিয়ে সন্তুষ্ট যে ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল সময়কালে, দিল্লি পুলিশ কমিশনার পূর্বোক্ত আইনের ৩ ধারার উপধারা (২)-এর অধীনে আটক কর্তৃত্বের ক্ষমতাও প্রয়ােগ করতে পারে।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমােদন পাওয়ার পরই ১০ জানুয়ারি এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নতুন নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন নিয়ে দিল্লিতে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সুচনা হয়, তারপরই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে এটি একটি নিয়মিত আদেশ যা প্রতি ত্রৈমাসিকে জারি করা হয় এবং বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
গত বছর ডিসেম্বরে সিএএ নিয়ে দিল্লিতে ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হয়। জাতীয় রাজধানীর সীমাপুরি থেকে শুরু করে দিল্লি গেট বা জামিয়া, অশান্তির আঁচ সর্বত্র দেখা যায়। ১১ ডিসেম্বর সংসদে নরেন্দ্র মােদি সরকার নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন পাশ করার পর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়। এর দু’দিন পরই ১৩ ডিসেম্বর এই আইনে অনুমােদন দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে যে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের জন্য পালিয়ে আসা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, জৈন, পার্সি ও শিখ সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এ দেশের।
এই আইনের তীব্র সমালােচনা করে এআইএমআইএম-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি পুলিশকে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ)-এর অধীনে আটক করার ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি টুইটে বলেন, ‘কেন্দ্রকে খুশি করতে দিল্লি পুলিশ নিজেদের এই ইচ্ছাকে জাহির করছে। পুলিশকে কঠোর এনএসএ’র আওতায় আটক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে’।