২০২৫ সালে দেশে আদমশুমারি শুরু

অবশেষে আদমশুমারি নিয়ে বড় খবর প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকে আদমশুমারি শুরু হবে। এই প্রক্রিয়াটি চলবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। দেশে শেষ আদমশুমারি হয়েছে ২০১১ সালে। তারপর ২০২১ সালে আদমশুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতি ১০ বছর অন্তর দেশে আদমশুমারি বা জনগণনা হয়ে থাকে। ১৯৯১, ২০০১, ২০১১-তে আদমশুমারি হয়েছে। এই নিয়ম মেনে আদমশুমারি হতে থাকলে ২০২৫ সালের পরবর্তী তা হবে ২০৩৫, ২০৪৫, ২০৫৫ সালে। আদমশুমারি শেষ হওয়ার পর লোকসভা আসনের সীমানা নির্ধারণ শুরু হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে সীমানা প্রক্রিয়া নির্ধারণ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভিন্ন বিরোধী দল থেকে জাতশুমারি বা জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি উঠলেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।আদমশুমারিতে ধর্ম ও শ্রেণি জিজ্ঞাসা করা হয়। সাধারণ, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি হিসেবে গণনা করা হয়। জাতশুমারিতে জনগণকে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে তারা কোন সম্প্রদায়ের অনুসারী। উদাহরণস্বরূপ, কর্নাটকের লিঙ্গায়ত। তাঁরা সাধারণ শ্রেণির অন্তর্গত তবে নিজেদেরকে একটি পৃথক সম্প্রদায় বলে মনে করে।


একইভাবে, বাল্মীকি, রবিদাসীর মতো তফসিলি জাতিদের মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ম, শ্রেণির পাশাপাশি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে আদমশুমারির দাবি বিবেচনা করছে।

ভারতে প্রথম আদমশুমারি ১৮৭২ গভর্নর জেনারেল লর্ড মেয়োর সময়কালে পরিচালিত হয়েছিল। ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ আদমশুমারি ১৮৮১ সালে পরিচালিত হয়েছিল। এটি প্লোডেন দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল। এর পরে প্রতি ১০ বছরে একবার আদমশুমারি হয়। তবে এর ব্যতিক্রমও ঘটেছে। স্বাধীন ভারতের প্রথম আদমশুমারি ১৯৫১ সালে পরিচালিত হয়েছিল। এর পর ভারতে ৬ বার আদমশুমারি পরিচালিত হয়।

পরাধীন ভারতে আদমশুমারি হয় – ১৮৭২, ১৮৮১, ১৮৯১, ১৯০১, ১৯১১, ১৯২১, ১৯৩১, ১৯৪১ সালে। আর স্বাধীন ভারতে আদমশুমারি হয় – ১৯৫১, ১৯৬১, ১৯৭১, ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১, ২০১১ সালে।