• facebook
  • twitter
Thursday, 19 December, 2024

রাহুলের বিরুদ্ধে ‘মর্যাদায হানি’-র অভিযোগ করেছেন নাগাল্যান্ডের সাংসদ ফাংগনন কোনিয়াক

তিনি আমার সঙ্গে উচ্চস্বরে দুর্ব্যবহার করেছিলেন, এবং আমার সঙ্গে তাঁর শারীরিক সংস্পর্শ এতটাই কাছাকাছি ছিল যে, একজন মহিলা সদস্য হিসেবে আমি অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করছিলাম।

ফাইল চিত্র

নাগাল্যান্ডের রাজ্যসভার সাংসদ এস ফাংগনন কোনিয়াক বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের আইন প্রণেতা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তাঁর “মর্যাদা ও আত্মসম্মানে আঘাত” করার অভিযোগ করেছেন।

আম্বেদকর নিয়ে বুধবার সংসদ চত্বরে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, যেখানে দুই বিজেপি সাংসদ – মুকেশ রাজপুত এবং প্রতাপ সিং সারঙ্গি – আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

এই অপ্রীতিকর ঘটনাগুলি ঘটে যখন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা, বাবাসাহেব আম্বেদকরের উপর করা মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়া এবং পদত্যাগের দাবিতে বিজেপি আইনপ্রণেতাদের মুখোমুখি হন, যাঁরা ভারতীয় সংবিধানের স্থপতিকে অপমান করার অভিযোগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন।

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে হয়রানি থেকে সুরক্ষা চেয়ে, উপজাতি সম্প্রদায়ের কোনিয়াক, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের কাছে চিঠি লিখে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন।

কোনিয়াক ধনকরের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, রাহুল গান্ধীর অভব্য আচরণের কারণে তাঁর মর্যাদা ও আত্মসম্মানে গভীর আঘাত লেগেছে।

রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন যে, বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতি করা মন্তব্যের প্রতিবাদ করার সময় গান্ধী এবং অন্যান্য সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে ‘অস্বস্তিকর’ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেন।

“তিনি আমার সঙ্গে উচ্চস্বরে দুর্ব্যবহার করেছিলেন, এবং আমার সঙ্গে তাঁর শারীরিক সংস্পর্শ এতটাই কাছাকাছি ছিল যে, একজন মহিলা সদস্য হিসেবে আমি অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আমি ভারাক্রান্ত মনে সরে আসি এবং আমি মনে করি যে, কোনও সংসদ সদস্যের এই ধরনের আচরণ করা উচিত নয়।”

এদিকে, কংগ্রেস সাংসদ হিবি ইডেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কোনিয়াকের অভিযোগ “সম্পূর্ণ বানানো এবং তথ্য-বহির্ভূত। বিরোধী দলের নেতার সততাকে অবমূল্যায়ন করার একটি অপপ্রচেষ্টা।”

উল্লেখ্য, কোনিয়াক ২০২২ সালের এপ্রিলে নাগাল্যান্ডের প্রথম মহিলা হিসেবে সংসদের উচ্চকক্ষে প্রবেশ করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। তিনিই রাজ্যের প্রথম মহিলা সাংসদ, যিনি সংসদের কার্যধারা পরিচালনা করেন।

এদিকে সংসদের এই অভব্য ঘটনায় উভয় কক্ষই কোনও কাজ না করেই আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।