• facebook
  • twitter
Tuesday, 14 January, 2025

অজানা জ্বরের আতঙ্ক, জম্মুতে ১০ শিশু-সহ মৃত ১৩

২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রাণ কাড়ছে এই অজানা জ্বর। একই পরিবারের মোট ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল সেই সময়। প্রচুর মানুষ হাসপাতালেও ভর্তি হন।

অজানা জ্বর ঘিরে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। গত কয়েক মাসে এই জ্বরে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিন্তার বিষয় হল – এই ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনই শিশু। জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল মৃতদের মধ্যে। এই একই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন অনেকে। রোগীদের থেকে সংগৃহীত নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই জানা যাবে, ঠিক কীসে আক্রান্ত ছিলেন ওই ১৩ জন।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রাণ কাড়ছে এই অজানা জ্বর। একই পরিবারের মোট ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল সেই সময়। প্রচুর মানুষ হাসপাতালেও ভর্তি হন। এদিকে শনিবার একই পরিবারের ৬ জন শিশুকে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একটি শিশুর অবস্থা ছিল সংকটজনক। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে জেরেই রবিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। রাজৌরির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকেও মৃত্যুর খবর আসে।

সূত্রের খবর, অজানা জ্বরে মহম্মদ ইউসুফ নামে এক প্রবীণেরও মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকমাসে এই জ্বরে সবমিলিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বর ছাড়াও আক্রান্তদের সর্দি-কাশি, বমি ভাব, শরীরে জলশূন্যতার মতো উপসর্গ ছিল। মূলত প্রবীণ ও শিশুরাই এই অজানা জ্বরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দিল্লির এইমস ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) থেকে আসা চিকিৎসক দল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পরীক্ষা করে দেখছেন।

রাজৌরির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনোহর লাল জানিয়েছেন, অজানা জ্বরে আক্রান্তরা ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন। অসুস্থদের জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, এসএমজিসি হাসপাতাল-সহ রাজৌরির কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। কিছু উপসর্গ থাকলেই থুতু-লালার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। নতুন মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কোনও ভাইরাসের সংক্রমণের জেরেই একের পর এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।