নজিরবিহীন হুমকি পাচ্ছেন ভারতের মুসলিমরা, দাবি মেহবুবা মুফতির

নজিরবিহীন হুমকি পাচ্ছেন ভারতের মুসলিমরা। মঙ্গলবার এই দাবি করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। সংবিধান দিবসে মুফতির এহেন মন্তব্যে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

এক্স হ্যান্ডেলে মেহবুবা মুফতি লিখেছেন, আজ আমরা সংবিধান দিবস পালন করছি, এটা দেখে খারাপ লাগছে যে দেশের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘুরা নজিরবিহীন হুমকি পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলি তাদের মর্যাদা, জীবন, জীবিকা এবং উপাসনালয় হামলার সম্মুখীন, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও মর্যাদার সংবিধানের গ্যারান্টির বিরোধী।

উত্তর প্রদেশের সম্ভল হিংসার কথাও তুলে ধরেন মুফতি। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সাম্প্রতিক হিংসায় চারজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যা খুবই বেদনাদায়ক। মসজিদের নীচে মন্দির খোঁজার এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট রায় দিয়েছে যে সমস্ত ধর্মীয় স্থানের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।


মুফতি বলেছেন, সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের অবক্ষয় অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা যারা ভারতের এই ধারণায় বিশ্বাস করি তারা যদি এই মূল্যবোধগুলি রক্ষার জন্য উঠে না দাঁড়াই, তবে আমাদের জাতি তার স্বতন্ত্র পরিচয় হারাবে। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশীদের থেকে বিছিন্নও হয়ে যাবে।

২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মুফতির পিডিপি মাত্র তিনটি আসনে জয়লাভ করেছে। এর আগে মেহবুবা মুফতি স্বয়ং লোকসভা নির্বাচনে হেরেছেন। অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনের ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী তথা গুর্জর নেতা আলতাফ আহমেদের কাছে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত হন মুফতি।

তাঁর বাবা প্রয়াত মুফতি মহম্মদ সৈয়দ ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে জোট গঠন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে, মেহবুবা মুফতি বিজেপির সঙ্গে জোট সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন জোট থেকে সরে আসার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন মুফতি।

২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বিধানসভা ভেঙে দেন। এরপর ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে পার্লামেন্ট। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে গিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসির অঞ্চলের জন্ম হয় – জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ।