• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

 মুসলিম মহিলাদের খোরপোশের অধিকারের বিরোধিতা ল বোর্ডের

‘সুপ্রিম কোর্টের রায় ইসলাম বিরুদ্ধ’ দিল্লি, ১৫ জুলাই– বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম মহিলাদের খোরপোশে মোটেই মত নেই মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের৷ আর তাই সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে এআইএমপিএলবি৷ বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম মহিলারাও খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য৷ ডিভোর্সি মুসলিম মহিলাদেরও খোরপোশের অধিকার দিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ সিআরপিসি-র ১২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মুসলিম মহিলাদের খোরপোশের অধিকার রয়েছে বলে

‘সুপ্রিম কোর্টের রায় ইসলাম বিরুদ্ধ’
দিল্লি, ১৫ জুলাই– বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম মহিলাদের খোরপোশে মোটেই মত নেই মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের৷ আর তাই সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছে এআইএমপিএলবি৷
বিবাহবিচ্ছিন্না মুসলিম মহিলারাও খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য৷ ডিভোর্সি মুসলিম মহিলাদেরও খোরপোশের অধিকার দিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ সিআরপিসি-র ১২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মুসলিম মহিলাদের খোরপোশের অধিকার রয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদ হলে মুসলিম মহিলারও খোরপোশ পাবেন৷ কিন্ত্ত, সেই ঐতিহাসিক রায় মানতে নারাজ অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড৷ রবিবার এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে তারা৷ শুধু প্রস্তাবেই থেমে না থেকে তারা এবার এই রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে চলেছে৷ এমনটাই জানালেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ইসলামের শরিয়া আইন বিরুদ্ধ বলেই জানিয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড৷ জানা গিয়েছে, বোর্ডের পক্ষ থেকে এই মর্মে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া হবে৷
মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, ‘আল্লার চোখে এ পৃথিবীতে আমাদের যা কিছু করার অধিকার রয়েছে তার মধ্যে তালাক সবচেয়ে ঘৃণ্য৷ ফলে তালাকের পথে না হেঁটে বিবাহকে রক্ষা করাই বাঞ্ছনীয়৷ পবিত্র কোরানের সমস্ত নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত মুসলিমদের৷ যদি বিবাহ বন্ধনে থাকা দুর্বিসহ হয়ে ওঠে তবে তালাক নেওয়া যেতে পারে৷’ সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া মুসলিম মহিলাদের খোরপোশের অধিকারের রায় আগামীদিনে সমস্যা তৈরি করবে৷ যারা ইতিমধ্যেই যন্ত্রণাদায়ক বিয়ের সম্পর্ক ছেডে় বেরিয়ে এসেছেন, তাঁরা এখন সমস্যার শিকার হবেন৷
বিচারপতি নাগরত্ন এবং ম্যাসি এ বিষয়ে পৃথক কিন্ত্ত সহমত পোষণ করে রায় দেন৷ বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, আমরা ফৌজদারি আর্জি খারিজ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ নম্বর ধারা শুধু বিবাহিতাদের ক্ষেত্রেই নয়, সকল মহিলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ বেঞ্চ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ নম্বর ধারায় যদি কোনও মুসলিম মহিলার বিবাহবিচ্ছিন্নের আর্জির শুনানি পডে় থাকে তাহলে তিনি খোরপোশ পেতে পারেন৷ মুসলিম মহিলা (বিবাহ অধিকার রক্ষা) আইন, ২০১৯-এ এর বন্দোবস্ত আছে৷
সম্প্রতি তেলঙ্গানা হাইকোর্ট আবেদনকারী মহম্মদ আবদুস সামাদকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে মাসে ১০ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন৷ সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায় সর্বোচ্চ আদালতেও৷ এক যুগান্তকারী রায়ে শাহ বানো মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, খোরপোশের ক্ষেত্রে মুসলিম মহিলারাও তা পাওয়ার যোগ্য৷
ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সাফ জানানো হয়, সকল বিবাহিত মহিলাই খোরপোশের দাবি করতে পারেন, তা তিনি যে কোনও ধর্মেরই হন না কেন৷ বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঐতিহাসিক৷