শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার মুদির দোকানিকে হত্যার মামলা দায়ের ঢাকার আদালতে

কোটা সংস্কার আন্দোলন গড়িয়েছে সরকার পরিবর্তনের ডাকে। ছাত্রদের আন্দোলনের ফলেই গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ সরকারের পতন হয়, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তারপর গঠিত হয়েছে অন্তিরীম সরকার।  কিন্তু দেশ ছেড়েও হাসিনাকে রেহাই দিতে রাজি নয় বাংলাদেশের নয়া ইউনুস সরকার। আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় মুজিবর কন্যা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের হল ঢাকার আদালতে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ১৬ জুলাই পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে মৃত্যু হয়েছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আবু সাঈদের। যদিও সেই আবু  সাঈদে নয় যার মৃত্যুতে এই মামলা তিনি হলেন এক মুদির দোকানি।মঙ্গলবার ঢাকার আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন সাঈদের এক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ এমএস আমির হামজা। ‘ঢাকা ট্রিবিউন’-সহ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিবেদনে এমনই প্রকাশ করা হয়েছে।

বিডি নিউজ় ২৪ ডট কম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলা দায়ের হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপির প্রাক্তন কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহম্মদ হারুন অর রশীদ এবং যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে।


সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। সেই আন্দোলনে তিনশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সাঈদ। গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের রাবার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। ছোট্ট বাঁশের লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে পুলিশের উদ্যত বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের বন্দুক থেকে ছুটে আসা পর পর রাবার বুলেটের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাটিতে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই মিনিটখানেকের ভিডিয়ো ক্লিপ তরান্বিত করেছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতন।