নরেন্দ্র মােদির দ্বিতীয় পর্বের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থের কারণে যােগ না দেওয়া অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জিএসটি নিয়ে প্রথম মত প্রকাশ করেছেন সােশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে তিনি ২০ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি পুনরায় লােকসভা ভােটে স্পষ্ট বহুমত পাবেন বলে টুইট করেছিলেন।
এদিন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জিএসটি চালুর পর রাজস্বের পরিমাণে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে টুইট করে জানান, ভারতের মতাে দেশে জিএসটির প্রয়ােগ দুইস্তরীয় হওয়া উচিত।
তিনি জানান, একস্তরীয় জিএসটি ব্যবস্থার প্রচলন কেবল সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন দেশের পক্ষেই সম্ভব, যেখানে দরিদ্র মানুষের অস্তিত্ব নেই।
উল্লেখ্য মােদি মন্ত্রিসভায় অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশে প্রথম ২০১৭ সালে ১ জুলাই পরােক্ষ করের ক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তণের সাহস দেখিয়েছেন।
জিএসটি চালুর দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর জেটলি তাঁর ব্লগে জানিয়েছেন, ভারতের মতাে দেশে যেখানে অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে সেখানে একস্তরীয় কর ব্যবস্থা চালু উপযুক্ত নয়।
তিনি জানান, প্রত্যক্ষ কর ক্রমবর্ধমান চরিত্রের। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরােক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ করের চরিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রাক জিএসটি সময়ে ধনী এবং দরিদ্রকে বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে একই হারে কর প্রদান করতে হত। বহুস্তরীর কর ব্যবস্থা কায়েমের দ্বারা একদিকে যেমন মুদ্রাস্ফীতি রােধ করা সম্ভব, তেমনই সাধারণ মানুষের ব্যবহারের দ্রব্য সামগ্রির ক্ষেত্রে যথেচ্ছ কর থেকে রেহাই।
তিনি জানান, হাওয়াই চপ্পল এবং মার্সিডিজ গাড়ির জন্য একই হারে কর ধার্য হতে পারে না। এর অর্থ এই নয়, যে কর স্তর ব্যবস্থায় যুক্তিগ্রাহ্য ব্যবস্থা চালু করার প্রয়ােজন নেই।
সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। কেবল বিলাস দ্রব্য এবং অন্যান্য নেশার দ্রব্য ব্যতীত, ২৮ শতাংশের স্তর ইতিমধ্যেই প্রায় বাতিল হয়েছে। শূন্য এবং ৫ শতাংশের স্তর সকল সময়েই জারি থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।