এ পর্যন্ত শুনে ভাবছেন যা বাবা! ভরা এজলাসে কিনা মদের বোতল দিয়ে উৎকোচ কিম্বা বিচারপতিদের অসম্মান করা৷ অদৌ তা নয়, আসলে মদ সংক্রান্ত একটি মামলারই শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে৷ যাদের নিয়ে ঝামেলা, তারা সশরীরে হাজিরা না দিলে হয়? তাই সোনালি তরলে পূর্ণ দুই কাচের বোতলের আদালতে আগমন৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করেছিল পার্নোড রিকার্ড নামে একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা৷ ‘ব্লেন্ডারস প্রাইড’, ‘ইম্পেরিয়াল ব্লু’ সহ একাধিক সুপরিচিত মদ তৈরি করে থাকে এই সংস্থাটি৷ তাদের অভিযোগ, জে কে এন্টারপ্রাইজ নামে অন্য একটি সংস্থা তাদের ‘প্রাই’ শব্দটি ব্যবহার করে এবং লোগো জাল করে বেআইনিভাবে মদ তৈরি করে ‘লন্ডন প্রাইড’ নাম দিয়ে বাজারে বিক্রি করছে৷ তার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হুবহু একই রকম দেখতে বোতল৷ বেআইনিভাবে ট্রেডমার্ক ভেঙে তৈরি এই মদ বিক্রি করেই জে কে এন্টারপ্রাইজের বার্ষিক টার্নওভার দাঁডি়য়েছে ৪,৪০০ কোটি টাকা, জানায় সংস্থাটি৷
একথা জানার পরেই দুটি সংস্থার তৈরি মদের সাদৃশ্য স্বচক্ষে দেখতে চান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র৷ তাতেই প্রমাণ হিসেবে দুটি হুইস্কির বোতল ঠকাস করে বিচারপতিদের সামনে বসিয়ে দেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি৷ তাঁর কীর্তিতে প্রথমে অবাক হলেও পরে হেসে ফেলেন বিচারপতিরাও৷ তখন রোহাতগিকে বোতলগুলি ফেরত দিয়ে মুচকি হেসে প্রধান বিচারপতি জানান, এর আগে বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন তিনি ভদকার ব্র্যান্ড নিয়ে এইরকমই একটি মামলা দেখেছিলেন৷ তবে এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ‘প্রাইড’ একটি জেনেরিক নাম৷ এটির উপর কোনও কপিরাইট দাবি করা যায় না৷ তবে মামলাকারীর দায়ের করা পিটিশনটি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে আদালত৷ তার পাশাপাশি জে কে এন্টারপ্রাইজকে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে৷ আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে সংস্থাটিকে৷