• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

শি‍বাজির মূর্তি ভাঙায় দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র

মহারাষ্ট্রে সিন্ধুদুর্গ জেলার শিবাজি মহারাজের মূর্তি কেন মাত্র আট মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ল তা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে থানায়। সেই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, নিম্নমানের জিনিস দিয়ে মূর্তি তৈরি করা হয়। ‍বিশেষত , ওই মূর্তিটিতে যে নাট বল্টু ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও ছিল মরচে ধরা ।

মহারাষ্ট্রে সিন্ধুদুর্গ জেলার শিবাজি মহারাজের মূর্তি কেন মাত্র আট মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ল তা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে থানায়। সেই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, নিম্নমানের জিনিস দিয়ে মূর্তি তৈরি করা হয়। ‍বিশেষত , ওই মূর্তিটিতে যে নাট বল্টু ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও ছিল মরচে ধরা । যার ফল ফলেছে হাতেনাতে। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের একনাথ শিণ্ডের সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘খোকা সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে। এই ঘটনা শিবাজি মহারাজের চরম অপমান’।
শি‍বাজি মহারাজের মূর্তি ভেঙে পড়া নিয়ে পূর্ত দফতর ওই মূর্তি নির্মাণের বরাত দেওয়া ঠিকাদার জয়দীপ আপতে এবং চেতন পাটিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তাঁদের ‍বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। পূর্ত দফতরের দাবি, মূর্তিতে ব্যবহৃত নাট বল্টুতে মরচে পড়ে যায়। এই নিয়ে সতর্ক করা হলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে মূর্তিটির নির্মাণশৈলী নিয়েও।
 
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ মালভানের রাজকোট দুর্গে ভেঙে পড়ে শিবাজি মহারাজের সেই মূর্তি। গত ৪ ডিসেম্বর নৌসেনা দিবসে এই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দা‍বি, প্রবল হাওয়ার জন্যই মূর্তিটি ভেঙে পড়ে। তাঁর দাবি, দুর্ঘটনার সময় প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছিল। যদিও সরকারের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।
শিবসেনা বিধায়ক বৈভব নায়েক একে দুর্ভাগ্যজনক ‍বলে অভিহিত করেছেন। রাজকোট পরিদর্শনের পর তিনি ‍বলেন, “ মাত্র আট মাসের মধ্যে মূর্তিটি ভেঙে পড়েছে। তীব্র নিন্দা করছি। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ মহারাষ্ট্রের পরিচয়। এটা তাঁর অপমান। নিম্নমানের কাজের ফলে এমনটি ঘটেছে। এর বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানাচ্ছি।”
 
প্রসঙ্গত, মোদির ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ ছত্রপতি শিবাজির মূর্তিটি তৈরিতে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩,৬০০ কোটি টাকা, যা মহারাষ্ট্রের ‍বেশিরভাগ জনমুখি প্রকল্পের বাজেটের চেয়ে অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য , শিক্ষা, পানীয় জল, অপুষ্টির মতো পরিষেবার ক্ষেত্রে সারা বছরে এই রাজ্যে যা ‍ব্যয় হয় , মূর্তি তৈরিতে খরচ হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি। কিন্তু, এত বিপুল ‍ব্যয়ের পরও মূর্তিটি মাত্র আট মাসের মধ্যে ভেঙে পড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
 
শুধু শি‍বাজি মূর্তি নয়, রামমন্দির থেকে শুরু করে সংসদ ভ‍বন, মোদির একের পর এক প্রকল্পকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। রামমন্দিরে গর্ভগৃহের ছাদ চুঁইয়ে জল, রামপথে ধস, সর্‍বোপরি নতুন সংসদ ভ‍বনের ছাদ ছুইয়ে জল পড়ায় মেঝেতে ‍বালচি পেতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ছ‍বিও ভাইরাল হয়েছে। ফেলে ‍বার‍বার ‍বিরোধীদের নিশানার সম্মুখীন হতে হয়েছে মোদি সরকারকে। এ‍বার তাতে সংযোজিত হল মহারাষ্ট্রের শি‍বাজি মূর্তি।