দিল্লি, ২৭ জুলাই: কংগ্রেস শাসিত তিনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেশ ও রাজ্যবাসীর স্বার্থে সেই বৈঠককে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টিকে রাজনীতির উর্দ্ধে রেখেছিলেন। কিন্তু, বৈঠকে যোগ দিয়েও ঘটল বিপত্তি। ন্যূনতম সৌজন্য দেখাল না বিজেপি। মমতাকে বৈঠকে সব কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন। এমনকি তাঁর বলার সময় শেষের দিকে মাইক অফ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে আসেন। কেন্দ্রের শাসকদল তাঁর সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও পাশে দাঁড়াল ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লা থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি জয়রাম রমেশ মমতার পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। ঘটনার পর এদিন জয়রাম রমেশ বলেন, ”নীতি আয়োগ আসলে নন-বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রীর হয়ে ঢাক বাজাতে ব্যস্ত। তাঁদের নিরপেক্ষ, স্বতন্ত্র এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। কিন্তু তাঁরা বর্তমানে এই বিজেপি সরকারের ইশারাতেই কাজ করে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি শাখায় পরিণত হয়েছে নীতি আয়োগ।”