আজ বসছে সংসদ

ভারতীয় সংসদ (File Photo: iStock)

সর্বদলীয় বৈঠকে কোপ পড়ল। মূল কারণ করােনা আবহ। আজ সােমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু তার আগে প্রথা মেনে সর্বদলীয় বৈঠক হচ্ছে না। সর্বদলীয় বৈঠক করার দায়িত্বে থাকেন লােকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। চিরাচরিত সেই প্রথায় এবার ব্যতিক্রম হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত দু’দশকে এমন ঘটনা কখনাে ঘটেনি।

এদিকে স্পিকার বিজনেস অ্যাডভাইসরি বৈঠক করবেন, সেখানেই বাদল অধিবেশনের সম্ভাব্য আলােচ্য বিষয় নিয়ে আলােচনা হতে পারে। করােনার কারণে এবার বাদল অধিবেশন পিছিয়ে গিয়েছে। কমিয়ে দেওয়া হওয়া হয়েছে অধিবেশনের মেয়াদ। আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত অধিবেশন চলার কথা থাকলেও করােনা আবহে তা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এদিকে, সত্ৰমণ রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি নানা বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে সংসদ ভবনে।

এবারের সংসদ অধিবেশন উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে সরকারের প্রস্তাব মেনে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল এবং জিরাে আওয়ার ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে খবর।


যদিও বিরােধীরা প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল প্রস্তাবের বিরােধিতায় সরব হয়েছে। যদি প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকে তাহলে পূর্ব লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে বিরােধী সরব হবেন, তা বলাই বাহুল্য। কারণ ২০১৭ সালে ডােকলাম পর্বের সময় নরেন্দ্র মােদি সরকার সংসদে কিছু বলতে অস্বীকার করায় সংসদ উত্তপ্ত হয়েছিল। এবারও সেই সম্ভাবনা প্রবল। বাদল অধিবেশনে এবার ২৩ টি বিল তালিকাভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৭ টি বিল রাখা হয়েছে পাশ করানাের জন্য।

লাদাখ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে পারে সরকার। এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যােশীর কাছ থেকে।

এবার সেন্ট্রাল হলে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গােটা অধিবেশনে কাগজের ব্যবহার কম করার কথা বলা হয়েছে। বেশির ভাগ নথি ডিজিটাল হবে। সংসদীয় নথি অনলাইনে পাঠানাে হবে।

বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন লােকসভার অধিবেশন হবে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা। অন্যদিনগুলিতে বিকেল ৩ টে সন্ধ্যা ৭ টা। রাজ্যসভার অধিবেশন হবে প্রথমদিন বিকেল ৩ টে থেকে সন্ধ্যা ৭ টা। পরবর্তী দিনগুলিতে ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা।

করােনা সংক্রমণ এড়াতেও সাংসদদের দূরত্ববিধি মেনে বসানাে হবে। লােকসভার অধিবেশন দেখবেন সেই কক্ষে বেশ কিছু সাংসদ, রাজ্যসভায় বসে জায়েন্ট স্ক্রিনে। ক্যান্টিনের রান্না বন্ধ রাখা হচ্ছে। প্যাকেট খাবার দেওয়া হবে।