২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস । অন্যান্য বছর এদিন সাদরে পালন করা হয় এই দিন। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে যোগাভ্যাস করেন। তাঁর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু যোগ দিবসে দেশবাসীকে নিজের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দিলেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার মন্ত্র।
রবিবার সকালে দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, প্রাণায়াম অর্থাৎ শ্বাসের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য যে যোগ রয়েছে তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড ১৯ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে আঘাত করে। প্রথমেই তারা আমাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল করে দেয়। সেখানেই মানুষ অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রাণায়াম আমাদের শ্বাসযন্ত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। প্রাণায়ামের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি এদিন তাঁর বার্তায় আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী যোগের মাধ্যমে উপকার পাচ্ছেন। যোগ শুধুমাত্র মানুষের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই নয়, যোগের মাধ্যমে মানুষের মনোবল অনেক বেড়ে যায়। ফলে করোনার মতো শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইচ্ছা অনেক প্রবল হয়। মানুষের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়ে। সেইসঙ্গে যোগ মানুষের মনে শান্তি নিয়ে আসে।
২০১৫ সাল থেকে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দ্বিস হিসেবে পালন হয়ে আসছে। কিন্তু এদিনই প্রথম যোগ দিবসের সঙ্গে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণও রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহণ এত দীর্ঘ সময় ধরে হতে চলেছে যা গত ১০০ বছরে দেখা যায়নি। সেইসঙ্গে এই গ্রহণের সময় যে বৃত্তাকার রিং তৈরি হবে তার মাত্রা দেখে একে শতাব্দীর গভীরতম সূর্যগ্রহণ বলছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
করোনা সংক্রমণের কারণে এবার ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। তাই এবারের থিম হল, বাড়িতে যোগাভ্যাস করুন, পরিবারের সঙ্গে যোগাভ্যাস করুন। যদিও উত্তরাখণ্ডে গঙ্গার ঘাটে যোগাভ্যাস করবেন যোগগুরু বাবা রামদেব। সেইসঙ্গে অনলাইনেই দেশের নামী দামি অনেকেই যোগ করে দেখাবেন বলে ঠিক হয়েছে।
এদিন সকালেই টুইট করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, মানুষের শরীর ও মনের মধ্যে এক সংযোগ তৈরি করার পদ্ধতি হল যোগ। এর মাধ্যমে চিন্তাভাবনা ও কাজ এবং মানবতার সঙ্গে প্রকৃতির যোগসূত্রও তৈরি হয়। ভারতের সংস্কৃতি গোটা বিশ্বকে এই উপহার দিয়েছে। মোদিজির প্রচেষ্টায় তা আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। গোটা বিশ্ব আজ যোগের গুরুত্বকে স্বীকার করেছে।