শেষ দফা লােকসভা নির্বাচনের আগে মােদি , মায়াবতীর বাকযুদ্ধের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে।মােদি সাম্রাজ্যের পতন নিশ্চিত দেখে দুরত্ব বাড়াচ্ছে আরএসএস বলে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে নিশানা করেছিলেন বহুজন সমাজ নেত্রী মায়াবতী।আজ আরও একদফা আক্রমণ শানালেন বসপা নেত্রী।এবার গুজরাতে মােদির শাসনকাল নিয়ে খোঁটা দিলেন মায়াবতী।
বসপা নেত্রী এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান,গুজরাতে মােদির শাসনকাল ছিল দেশ তথা রাজ্যের কাছে কালাে দিন।উনি আমার (উত্তরপ্রদেশ) থেকে বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গুজরাতে।কিন্তু তাঁর সময় শুধু গুজরাত নয়,বিজেপির সঙ্গে দেশের সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাসের সামনেও একটা বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে মায়াবতী আক্রমণ করেন উত্তরপ্রদেশে বালিয়ারে এক জনসভার সপা-বস্পা মহাজোটকে আক্রমণ করার পরেই প্রধানমন্ত্রী ওই জনসভায় বলেছিলেন,তার কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই,তিনি বাংলাে বাড়ির মালিক নন,তাঁর নামে শপিং কমপ্লেক্স নেই,বিদেশি ব্যাঙ্কের ঢাকা কিংবা বিদেশি কোনও সম্পত্তি কেনেননি,তিনি দামি কোনও গাড়ির মালিক নন।শপিংমল বা বিদেশি ব্যাঙ্কে টাকা আছে কিনা জানতে বিরােধীদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।উত্তরপ্রদেশের ওই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বিরােধীদের উদ্দেশ্য করে বলেন,“বিরােধীরা নিজেদের জন্য বিশাল প্রাসাদ তৈরি করেছেন,সিন্দুক ভরেছেন।তিনি নিজে পিছিয়ে পড়া জাতির হলেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস রাখেন।সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি জোটকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, মহাভেজাল জোটের নেতারা জাতপাতের রাজনীতির সঙ্গে সিন্দুক ভরে চলেছেন।এঁরা নিজেদের সঙ্গে আত্মীয়দের জন্য বিশাল বাংলাে,প্রাসাদ বানিয়ে চলেছেন।’
বালিয়ারের মােদির বক্তব্য প্রসঙ্গে মায়াবতী আজ সাংবাদিকদের কাছে বলেন, “শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন।সারা দেশ জানে বেনামি সম্পত্তি এবং দুর্নীতি বিজেপি ওতপ্রােতভাবে জড়িত।মােদি শুধুমাত্র খাতায় কলমে সৎ,ঠিক যেমন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ খাতায় কলমে রয়েছেন।তাদের সমস্ত সুযােগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে লিখিত আকারে’।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি মহাজোটকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন গুজরাতে কোনও নির্বাচনে তিনি জাতপাতের রাজনীতিকে টেনে আনেননি। তাঁর কাছে একটাই জাত দারিদ্র।তিনি দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন চিরকাল।
এদিন মায়াবতী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে একহাত নিয়ে বলেন, ‘গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই হোক বা দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজত্বকাল পুরােটাই হিংসা, উদ্বেগ এবং ঘৃণায় ভরা।তিনি প্রশাসন চালনায় অযােগ্য।দেশের সংবিধান এবং সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ব্যর্থ।দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও অযোগ্য তিনি’।