দিল্লি, ২৪ জুন – সরকারের নীতি ও আদর্শের প্রতি ভরসা রেখেছেন দেশবাসী। তাই তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব আরও বেড়েছে। সোমবার অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, সকলের মতামত নিয়ে সরকার পরিচালনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘শ্রেষ্ঠ ভারত ও বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য নিয়ে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে।
সংসদে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়েও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তিনি বলেন, মানুষ সংসদে নাটক চায় না, স্লোগান চায় না। দেশ দায়িত্বশীল বিরোধীদের দেখতে চায়। মোদির কথায়, ‘‘ যাঁরা ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছেন, তাঁদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷’’
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে লাগু হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থার কথাও। তৎকালীন সরকারের নাম না করেই কটাক্ষ করেন তিনি।তিনি বলেন, ‘ ২৫ জুন দেশের গণতন্ত্রে কালো দাগ লেগেছিল। কাল তার ৫০ বছর পূর্ণ হবে। সেইসময় সংবিধান বাতিল করা হয়েছিল। ওই দিন ভারতের সংবিধানকে অমান্য করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। দেশকে জেল খানা বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
লোকসভায় সোমবার সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণ করেছেন মোদি। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যেরাও প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাবের তত্বাবধানে একে একে শপথ নেন। লোকসভায় সাংসদদের শপথগ্রহণ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। ২ বা ৩ জুলাই লোকসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারেন মোদি । মোদির ভাষণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রোটেম স্পিকার মোদিকে লোকসভার নেতা ঘোষণা করেন।