অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ২০ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ মােদির

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: IANS/PIB)

করােনা মােকাবিলায় চতুর্থ দফায় লকডাউন জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। এদিন জাতির উদ্দেশ্যে দুরদর্শন মারফত এক বার্তায় তিনি জানান, করােনাভাইরাস সারা বিশ্বে এক অভূতপূর্ব অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

এ অবস্থার মােকাবিলায় দেশের স্বনির্ভরতা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ২০ লাখ কোটি টাকার এক প্যাকেজ ঘােষণ করছে। এর মাধ্যমে কৃষি, শ্রমিক, নগদ এবং আইনের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়তার সৃষ্টি হবে। করােনা ভাইরাসের মােকালািয় আমাদের অঙ্গীকার মহামারী বিপদকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। তা একদিন সফল হবেই।

তিনি বলেন, একবিংশ শতকে আত্মনির্ভর ভারতই বিশ্বে এক সম্ভাবনাময় জাতি হিসেবে বিশ্বকে পথ দেখাতে সক্ষম। আত্মনির্ভরতার পাঁচটি স্তম্ভ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিতভাবে জানান, আর্থিক অবস্থা যা উল্লেখযােগ্য সম্ভাবনাকে উস্কে দিতে পারে, পরিকাঠামাে, প্রযুক্তি পরিচালিত ব্যবস্থা, জনবিন্যাস এবং সুচারু বুদ্ধিদৃপ্ত সরবরাহ ব্যবস্থা।


বিগত ছয় বছরে যে সব সংস্কার হয়েছে তার জন্য এই সঙ্কট সময়ে বারত অধিকতর শক্তিশালী হিসেবে লড়াই মােকাবিলা করতে পারছে। অর্থমন্ত্রী আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত জানাবেন পর্যায়ক্রমে। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প, সাধারণ গরিব মানুষ সকলের জন্যই এই আর্থিক প্যাকেজ।

তিনি জানান, কুড়ি লাখ কোটি টাকা আমাদের জিডিপির প্রায় দশ শতাংশ। ভারতের বাজার এক বিশাল বাজার। চাহিদা বাড়াতে গেলে যােগানও বাড়াতে হবে। আমাদের একশাে ত্রিশ কোটি ভারতবাসীর আত্মনির্ভরতা বিশ্বের মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান, ভারতে প্রতিদিনই ২ লাখ পিপিই এবং ২ লাখ মাস্ক তৈরি হচ্ছে। একটাও এন-৯৫ মাস্ক ছিল না।

করােনা সংক্রমণের প্রথমদিকে একটিও পিপিই ছিল না। করােনা মােকাবিলায় সারা বিশ্বই আজ লড়াইয়ে শামিল। কিন্তু ভারতবাসী তাদের কষ্টসহিষ্ণুতা দেখিয়েছে। লড়াইয়ের মানসিকতা ত্যাগ করেনি। করােনার মােকাবিলায় সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতও চারমাস ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

১৭ মে’র পর লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন ক্ষেত্রে কতটা ছাড় দেওয়া হবে তা এর মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। কিন্তু লকডাউন কতদিনের জন্য আবার বৃদ্ধি করা হবে তা ঘােষণা করেননি।