কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কার্যত চাপের মুখে মােদি প্রশাসন-একদিকে নতুন কৃষি আইনগুলাে প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর সীমান্তে কয়েক হাজার কৃষক আন্দোলন চালাচ্ছেন, পাশাপাশি, বিরােধী দলগুলাে কৃষকদের দাবিকে সমর্থন করে মােদি প্রশাসনকে কোণঠাসা করছে।
নতুন আইনগুলো প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষর আন্দোলন অস্ত্র দিনে পড়ল। সংসদের অধিবেশনে বিতর্কিত কৃষি আইনগুলাে নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরােধীদের তুমুল বাকবিকতন্ডা হয়। তারা বলেন, কৃষি আইনগুলাে প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর সীমান্তে কয়েক হাজার কৃষক টানা বাহার দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন।
তারপ্রই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর ও সংসদ সম্পর্কিত দফতরের মন্ত্রী প্রহলাদ জোশীর সঙ্গে সংসদ ভবনের আলাদা কক্ষে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মােদি।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিরােধীরা সংসদের দুই কক্ষেই সরকারকে একহাত নেয়। গ্রেসের তরফে প্রতাপ সিং বাজওয়া বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের সংঘর্ষের ঘটনায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নেতৃত্বাধীন কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা কৃষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র সরকার দায়ি।
কোভিড সংক্রমণ দেশে প্রবেশ করার আগে থেকেই ভারতীয় অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি আরও চিন্তা জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের কারণে দেশের প্রচুর মানুষ চাকরি হরিয়েছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র দায়ি। পাশাপাশি, তিনি সাধারণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় ধর্মীয় ধ্বজা লাগানাে ও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানাের ঘটনার কঠোর সমালােচনা করেন।