‘পুণ্যভূমে পুণ্যস্নান’। ১২ বছর পর ১৩ জানুয়ারি পূর্ণকুম্ভ শুরু হবে প্রয়াগরাজে। বছরের শুরু থেকেই লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থী ভিড় জমাবেন এখানে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার কুম্ভমেলার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে। শনিবার বছরের শেষ ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ছিলো ভারতের কুম্ভমেলার ঐতিহ্য ও পরম্পরার আখ্যান।
শুধু অতীত কাহিনি নয় এবারের কুম্ভমেলা অনেকটাই যে ডিজিটাল হয়ে উঠছে, মোদীর বক্তব্যে সে কথাও উঠে এলো। কী কী ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা মিলবে, তারও একটা আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পুণ্যার্থীদের জন্য এবারের কুম্ভমেলায় ‘ডিজিটাল নেভিগেশন’ ব্যবস্থা রাখা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে কোথায় কী রয়েছে, সে বিষয়ে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে। কোন দিকে কোন ঘাট, মন্দির কিংবা কোন সন্ন্যাসীর আখড়া রয়েছে, তা সহজে পুণ্যার্থীরা জানতে পারবেন এই ‘ডিজিটাল নেভিগেশন’-এর মাধ্যমে।
এ ছাড়া এবারের কুম্ভমেলাতে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি চ্যাটবটও। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রথম বার কোনও কুম্ভমেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। চ্যাটবটের মাধ্যমে ১১টি ভারতীয় ভাষায় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। টেক্সট মেসেজ বা মৌখিক প্রশ্নের জবাব মিলবে চ্যাটবটের থেকে। কুম্ভমেলায় নজরদারির জন্য ব্যবহৃত ক্যামেরাতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান মোদী।
সেই সঙ্গে মোদী জানান, এই মহাকুম্ভ ঐক্যের মহাকুম্ভ। যেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। সমস্ত মানুষ এক হয়ে যাবে। এই কুম্ভমেলা শুধু বিশালতায় নয় বৈচিত্রেও মানুষকে ছুঁয়ে যাবে।
কুম্ভমেলার পাশাপাশি সংবিধানের ৭৫ বছর উপলক্ষেও নিজের বক্তব্য সকলের কাছে পৌঁছে দেন মোদী। তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি, আমাদের সংবিধান ৭৫ বছর পূর্ণ করছে। সংবিধান আমাদের আলোর দিশারি, আমাদের পথপ্রদর্শক। এবছর সংবিধান দিবসে, ২৬ নভেম্বর ভারত তার সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর উদযাপন করছে। সঙ্গে দেশের নাগরিকদের সংযুক্ত করতে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। আপনারা বিভিন্ন ভাষায় সংবিধান পড়তে পারবেন। এবং সংবিধান সম্পর্কিত প্রশ্নও করতে পারবেন।’