নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশে মোট একশো কোটি টিকাকরণের দাবি করেছে। কিন্তু সেই দাবিকে ‘জুমলা’ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির সভায় মমতা বলেন, ‘বলা হচ্ছে, একশো কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। আর প্রত্যেককে দুটি করে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাই কি ভাবে একশো কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।’
আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত দেশের ২৯ কোটি ৫২ লক্ষ মানু দুটি টিকা পেয়েছেন। একটাও টিকা পাননি অনেকে। সেই সব মানুষকে টিকাকরণের ব্যবস্থা না করে কৃতিত্বের দাবি করছে।”
মমতার দাবি, সারা ভারতে পঁয়ত্রিশ কোটি মানুষ এখনও একটিও টিকা পায়নি। যাঁরা টিকা পাননি, তাদের টিকা না দিয়ে ঢক্কানিনাদ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর আরও প্রশ্ন, এখনও আঠারো বছরের নীচে টিকাকরণ শুরুই হয়নি।
তা হলে কিভাবে দেশের সর্বস্তরের মানুষ টিকা পেলেন? সভায় কত জন কোভিশিল্ড আর কতজন কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তা জানতে চান মমতা। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটি কেলেঙ্কারি হয়ে রয়েছে। কোভ্যাক্সিন তিনিও নিয়েছেন। তিনি আমেরিকা ঘুরে এলেন।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। কেউ চিকিৎসা করাতে বাইরে যেতে পারছেন না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেছি, কোভ্যাক্সিন যাঁরা নিয়েছেন, তারাও যেন অন দেশে যাওয়ার সুযোগ পান। টিকা বন্টনেও পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত করেছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
তিনি বলেন, আমাকে সাত কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, আমরা টিকাকরণে তিন নম্বরে। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশকে অনেক বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে বলেই তারা এগিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করেষে যে বিএসএফ এ বার থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত নজরদারি করতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিএসএফের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু বিভেদের ভাবনা নিয়ে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা ভালো নয়। আমরা প্রতিবেশী রাজ্যের সঙেঅগ যেমন ভাল সম্পর্ক রেখে চলি, তেমনই ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গেও আমরা সম্পর্কও বেশ মধুর।