মোদির মূল নিশানা কংগ্রেস হটাও, কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভোট সঞ্জীবনী পত্র প্রধানমন্ত্রীর

দিল্লি, ৩০ এপ্রিল– ভোট বৈতরণী পার হতে দলের প্রতিটি স্তরের কর্মীদের চাঙ্গা করতে এবার ভোট সঞ্জীবনী পত্র প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ফের ক্ষমতায় বসার লক্ষ্য নিয়ে ভোটের শেষ পর্যায়ে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে তাদের পূর্বের নীতিতেই কাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির৷  তৃতীয় দফার লোকসভা ভোট হবে আগামী ৭ মে৷ তার আগে ৯৪ জন বিজেপি প্রার্থী, যাঁদের ভাগ্যপরীক্ষা হবে ওইদিন, তাঁদের বিশেষ উপদেশ-নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
সেই চিঠিতে পদ্ম শিবিরের প্রধান মুখ মোদি প্রার্থীদের বলেছেন, ইন্ডিয়া জোটের কর্মসূচি হল তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির কাছ থেকে থাবা মেরে সংরক্ষণের কোটা মুসলিমদের হাতে তুলে দেওয়া৷ এটাই যেন এবারের ভোটে বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার করে এগোয় বিজেপির কর্মী-নেতারা৷ এ নিয়ে তাঁরা যেন ভোটারদের সচেতন করেন৷ কংগ্রেসের ইস্তাহারের কথা উল্লেখ করে আরও লিখেছেন, উত্তরাধিকার করের মতো বিপজ্জনক ভাবনা নিয়েও ভোটারদের দরজায় প্রচার করতে৷ ‘মেরি সাথী কার্যকর্তা’ বলে সম্বোধন করে মোদী বলেছেন, ওরা মুসলিমদের সংরক্ষণ চালু করতে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসরদের হকের ভাগ ছিনিয়ে নিতে চাইছে৷ এটাই আপনারা প্রচার করুন৷
কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে আরও বলেছেন, পাঁচ-ছয় দশক ধরে এই দেশ এবং আমাদের পূর্বসূরীরা যে দুর্ভোগ সহ্য করেছেন সেখান থেকে মুক্তি ও শান্তি ফিরিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ৷ গত ১০ বছরে ভারত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি আমরা৷
মোদির সেই চিঠি পেয়ে গুজরাতের পোরবন্দরের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য মঙ্গলবার তার এক্স-এ সেই চিঠির কপি পোস্ট করেন৷ সেই চিঠিতে মোদি সাফ বলেছেন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র জনমত গডে় তুলুন৷ সকলকে ভোট-সঞ্জীবনী সুধা গিলিয়ে দিতে সকল বিজেপি প্রার্থীর ১০ বছরের অবদানের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন মোদি৷ এটা কোনও সাধারণ নির্বাচন নয়৷ বিজেপির পক্ষে প্রতিটি ভোট দেশকে আরও শক্তিশালী সরকার উপহার দেবে৷ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতকে আরও উন্নত করার কাজ সহজ হবে৷ আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে এটাই সুবর্ণ সুযোগ, লিখেছেন মোদি৷
কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের শরিকরা যে বিভাজন এবং স্বেচ্ছাচারী নীতি-আদর্শের পথ নিচ্ছে তার বিরুদ্ধে জোরদার আওয়াজ তুলতে হবে৷ ওরা ওদের মুসলিম তোষণের ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে ব্যস্ত৷ ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ এমনিতেই অসাংবিধানিক৷ ওরা মানুষের কষ্টের রোজগারের পয়সা ছিনিয়ে ওদের ভোটব্যাঙ্কের খাতায় জমা করতে চাইছে৷ ওদের বিপজ্জনক ভাবনার বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে হবে, বলেন মোদী৷