৪০ কেজি রুপোর ইট দিয়ে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মোদি

রামমন্দির (File Photo: IANS)

করোনায় আক্রান্ত হয়ে অমিত শাহ চিকিৎসাধীন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। প্রশ্ন উঠেছিল, নরেন্দ্র মোদি কি আইসোলেশনে যাবেন? রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত হাজির থাকবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, প্রধানমন্ত্রী শুধু হাজিরই থাকবেন তা নয়, নিজে হাতে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

বুধবার রামমন্দিরের ভূমিপুজো এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান। রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সোমবার যে অতিথি তালিকা এবং নিমন্ত্রণপত্র প্রকাশ করেছে। তাতে সবার ওপরে নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি নিজে মন্দিরের ভূমিপুজো ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানানো হয়েছে। তাতেই ১৭৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে মঞ্চে থাকনে পাঁচজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং মোহন্ত নিত্যগোপাল দাস।


আমন্ত্রণপত্রে ‘রামলালা’ অর্থাৎ শিশুরামের একটি ছবি রয়েছে। প্রত্যেক নিমন্ত্রণপত্রে একটি করে সিকিউরিটি কোড রয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় একবারই সেটি ব্যবহার করা যাবে। যদি কেউ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান, তাহলে তিনি আর ঢুকতে পারবেন না। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ কাদেরকে জানানো হবে তার দায়িত্ব বর্তেছে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইয়ের ওপর।

অযোধ্যা মামলার অন্যতম মামলাকারী ইকবাল আনসারির কাছে প্রথম আমন্ত্রণপত্রটি যায়। এছাড়া মহম্মদ শরিফ, যিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন তাকেও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মহম্মদ শরিফ ১০ হাজারেরও বেশি বেওয়ারিশ লাশ সৎকার করে এবছর পদ্মশ্রী পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করবেন। অযোধ্যায় নতুন মন্দির থিমের স্টেশনের প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালে। সোমবার একথা জানানো হয়েছে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে।

উত্তর ও উত্তর-মধ্য রেলের জেনারেল ম্যানেজার রাজীব চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রভু রামের পদচিহ্ন পড়েছিল পবিত্র শহর অযোধ্যায়। এই শহরের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব আছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অযোধ্যা স্টেশনের আধুর্কিীকরণ হচ্ছে। এর জন্য ১০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।