• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১০০ কোম্পানি সেনা পাঠিয়ে কাশ্মীরে উন্নয়নের ঢাক পেটালেন মোদি

কাশ্মীর উপত্যকায় ১০০ কোম্পানি অতিরিক্ত আধা সেনা বহিনী পাঠানাের কথা ঘােষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

কাশ্মীর উপত্যকায় ১০০ কোম্পানি অতিরিক্ত আধা সেনা বহিনী পাঠানাের কথা ঘােষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডােভালের নেতৃত্বে এই বাহিনী কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী খোঁজার কাজ করবে। আর রবিবারই দিল্লিতে তাঁর মন-কি-বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, কাশ্মীরবাসীর উন্নয়নের জন্য প্রাণপাত করছে তাঁর সরকার। উপত্যকার উন্নয়ন এবং কাশ্মীরিদের উন্নতিই তাঁর সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।

একদিকে উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ, আর অন্যদিকে সেনা পাঠানাে, নরেন্দ্র মােদির সরকারের এই দ্বিমুখী নীতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের প্রশ্ন, যুদ্ধ না উন্নয়ন কাশ্মীরে মোদি সরকারের আসল লক্ষ্য ঠিক কী?

এরই মধ্যে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এদিন বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে আরাে নমনীয় হােক ভারত। এই মন্তব্যের পরে পরিস্থিতি আরাে জটিল হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ দুর করে শান্তি ফেরানােই তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে। এদিন মন-কি-বাত অনুষ্ঠানে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মোদি। দাবি করলেন, কাশ্মীরের মানুষ চান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি এবং গােটা উপত্যকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটাতে। তাই আজ যারা উপত্যকায় হিংসা ছড়ানাের চেষ্টা করছে, তারা কোনােদিনই সফল হবে না।

এ দিনের (রবিবার) অনুষ্ঠান থেকে সরকারের ‘গ্রামে ফিরে যাওয়া’ প্রকল্পের প্রশংসা করেন মোদি। জুন মাসের কাশ্মীরের সােপিয়ান, পুলওয়ামা, কুলগান, অনন্তনাগের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে সরকারি আধিকারিকরা বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। এই প্রকল্পের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের উৎসাহ দেখে তিনি আপ্লুত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

নিজের ২৫-মিনিটের বক্তব্যে তিনি বলেন, এতেই বােঝা যাচ্ছে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ কল্যাণমুখী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন। এই ধরনের প্রকল্পের সাফল্যের মাধ্যমেই বােঝা যাচ্ছে, কাশ্মীরের মানুষ উন্নতি চান। বুলেট ও বােমার শক্তির থেকে উন্নয়নের শক্তি অনেক বেশি। এর থেকে এও বােঝা যাচ্ছে যারা সেখানে হিংসা ছড়ানাের চেষ্টা করছে, তারা কোনও দিনই সফল হবে না।

অমরনাথ যাত্রার সময় কাশ্মীরিদের আপ্যায়ণেরও প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রায় তিন লক্ষের বেশি দর্শনার্থী গেছেন। এই পরিসংখ্যান সেখানকার পর্যটকদের জন্য সুখবর।

রবিবারের মন-কি-বাত অনুষ্ঠান থেকে চন্দ্রযান ২-এর সাফল্যের প্রশংসা করেছেন তিনি। মোদি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহাকাশ ও পৃথিবীর বাইরে ভারতের সাফল্যে সবাই গর্বিত। এই সফল উৎক্ষেপণ আমাদের বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল। আশা করি আগামী দিনে আমরা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করব।