করোনা মোকাবিলায় সরকার যে লকডাউন ব্যবস্থা জারি করেছে তা নিজেদের স্বার্থেই ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এদিন তাঁর মন কি বাত বার্তায় দেশবাসীকে ঘরে আটকে থেকে করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করার কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
মানুষে মানুষে সংস্পর্শের ফলেই এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় বলে বিজ্ঞানীরাও মতামত দিয়েছেন। তাই নিজেদের পরিবারের ও সামগ্রিকভাবে সমাজের স্বার্থে নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখার নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রোগের নিয়মই হল শুরুতেই প্রতিরোধ করা। সেই কারণেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সবাই সেটা মেনে চলুন।
লকডাউন ঘোষণায় সাধারণ মানুষের অসুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি এব্যাপারে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছেন, যারা নিজেরাই ঘরবন্দি রয়েছেন তাদের পড়শীদের হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। কারণ ঘরবন্দি যারা আছেন তারা সংক্রামিত নন। তারা সচেতন বলেই ঘরে বন্দি আছে। তাদের সাহায্য করুন।
তিনি বলেন, ভবঘুরে, ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যতটা পারেন সাহায্য করুন। প্রধানমন্ত্রী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সকলকে ঘরে বন্দি থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এতেই করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। সুস্থ থাকতে ঘরে বসেই ব্যায়াম করুন। সঙ্গীত চর্চা করুন বা গল্প পড়ে শোনান ও শুনুন। এখন সামাজিক দূরত্ব বাড়িয়ে মানসিক দুরত্ব কমান। সংক্ৰমেনর আশঙ্ক করেই সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যারা নিজেরাই ঘরেবন্দি রয়েছেন তাঁরা দায়িত্বশীল নাগরিক।
ঘরেবন্দিদের সঙ্গে অসহযোগিতা বা খারাপ ব্যবহারে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। কারণ যাঁরা ঘরে বন্দি হয়ে আছেন তাঁরাই সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন এটা জানা জরুরি। তাই হেনস্থার পথ পরিহার করে তাদের সাহায্য করুন। সেটাই সঠিক পদ্ধতি বলে মন্তব্য কনে প্রধানমন্ত্রী।
আর যারা প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয় পরিষেবা বা দ্রব্য সরবরাহ করে আমাদের জীনযাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাই যথেষ্ঠ নয়। তাদের জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করুন।
তিনি বলেন, পরিষেবা প্রদাকারীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বিমা করানো হয়েছে। দেশের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রণাম করি।