প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়ালেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটকে দিশাহীন বাজেট, গোলমাল বাজেট বলে খোঁচা মারার পাশাপাশি তিনি মোদিকে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করেন।
তার ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করে পাল্টা তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবিরও। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
রাওকে বলতে শোনা যায়, “যখন বাংলায় ভোট ছিল, তখন উনি রবীন্দ্রনাথের মতো দাড়ি রাখলেন। আবার তামিলনাড়ু গেলে ওনারে লঙ্গি পরতে দেখা যায়।
পাঞ্জাবের নির্বাচনের আগে ওনারে পাগড়ি পরতেও দেখা যাচ্ছে। মণিপুর, উত্তরাখণ্ডে গিয়ে আবার স্থানীয় টুপি পরছেন। এসব কী?”
এখানেই শেষ নয়, বাজেট নিয়েও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন চন্দ্রশেখর রাও। তিনি দাবি করেন, এই বাজেট দিশাহীন।
তাঁর মতে, এই বাজেট অনগ্রসর শ্রেণি, কৃষক ও আমজনতাকে পুরোপুরি হতাশ করবে। এমন বাজেট পেশ করা নির্লজ্জ রাজ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিজেপি’কে বঙ্গোপসাগারে ডুবিয়ে মারার কথা বলেও বিতর্ক বাড়িয়েছেন তিনি। তাঁর এহেন মন্তব্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বিজেপি।
তেলেঙ্গানার বিজেপি সভাপতি ও সাংসদ বান্দি সঞ্জয় চন্দ্রশেখরকে তোপ দেগে সঞ্জয় বলেন, “ওঁর হতাশা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ওঁর শক থেরাপি প্রয়োজন। আশাকরি তেলেঙ্গানার মানুষ সেটা ওকে দেবেন।”
উল্লেখ্য চন্দ্রশেখর দাবি করেছিলেন, সংবিধান নতুন করে লেখা হোক তাঁর সেই মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছে বিজেপি।
সঞ্জয়ের কথায় অপমান হতাশা এতটাই বেড়েছে যে উনি বি আর আম্বেদকরকেও করছেন। যিনি আমাদের সংবিধানের স্থপতি।”
তাঁর আরও অভিযোগ, তপশীলি জাতি ও উপজাতির মানুষকে তিনি অপমান করেছেন।
তেলেঙ্গানার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কোন্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডিও তোপ দেগেছেন চন্দ্রশেখরকে। তাঁর দাবি উনি যে ধরনের কথা বলছেন, তা একজন মুখ্যমন্ত্রীর শোভা পায় না।