বিধানসভা মহারণে বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যে চলতি সপ্তাইে বিশেষ পর্যালােচনা বৈঠকে বসতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি স্বয়ং। থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রসাদ নাড্ডারা। এঁরা দু’জনেই বাংলা ঘুরে গিয়ে রিপাের্ট দেবেন প্রধানমন্ত্রী মােদিকে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে চুড়ান্ত রণকৌশল সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই বৈঠক।
জানুয়ারি মাস থেকেই ভােটের প্রচারে দফয় দফায় বাংলায় আসার কথা রয়েছে । নরেন্দ্র মােদির । কীভাবে লােক আনা হবে । মােদির জনসভাগুলিতে , রাজ্যের কোন কেন । জায়গায় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করালে লাভবান হতে পারে বিজেপি , তা নিয়ে বেশ । কিছুদিন ধরেই বিজেপি’র অন্দরে আলােচনা চলছে।
এই নির্বাচনের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে দ্রুততার সঙ্গেই যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি তৈরি করা প্রয়ােজন তা জানেন বিজেপি’র প্রথম সারির নেতারা । বাংলার নির্বাচনে সফরসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে কী ভাবছেন বৈঠকে তার কাছেই জেনে নিতে পারবে বিজেপি’র নেতৃত্ব। পাশাপাশি তৈরি করা হতে পারে অন্যান্য হেভিওয়েট নেতাদের সফরসূচিও।
বাংলা জয়ের লক্ষ্যে কোন কোন তারকা প্রচারককে কাজে লাগানো হবে তার তালিকাও তৈরি করা হতে পারে ওই বৈঠকে। দলীয় সূত্রে দাবি, বাংলার জনসমাজে সংস্কৃতি ও মননে কথা মাথায় রেখেই তারকা প্রচারের তালিকায় রাখা হতে পারে বড় চমক। বিভিন্ন বিজেপি শাসতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বাংলা ভাজপা দলের জনপ্রিয় সাংসদ, কেন্দ্রীয় নেতাদের উড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানাের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের স্নেহধন্য বলিউড তারকাদে কয়েকজনকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বাংলার ভােটযুদ্ধে সামিল করা যায় কিনা, সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখবে বিজেপির নেতৃত্ব।
বাংলার মহাযুদ্ধে দলীয় রণকৌশল তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির ভূমিকা। কতখানি গুরুত্বপূর্ণ হবে তার আভাস পাওয়া গিয়েছে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়। যে কোনও বড় নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী দলের পর্যালােচনা বৈঠকে যােগ দিয়ে থাকেন। এই ঘটনা নতুন নয়। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পরামর্শেই চলে দল। তৈরি হয় ভােটযুদ্ধের রণনীতি। তবে অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে বাংলার প্রকৃতিগত ফারাক রয়েছে। সেই মর্মেই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও দিকনির্দেশ।