কটক, ১১ মে– শনিবার সকালে ওডি়শার কান্ধামালে জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঞ্চে উঠতেই, বিজেপি কর্মীরা পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত পূর্ণমাসি জানির হাত ধরে মঞ্চে আনেন৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণমাসি জানির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন৷ পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত পূর্ণমাসি প্রধানমন্ত্রীর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন৷
ওড়িশায় এদিন মোদি কংগ্রেসকে তুলোধনা করতে গিয়ে ৫০ আসন নিয়ে কটাক্ষ করেন৷ বলেন, ৫০ আসনও জিতবে না কংগ্রেস, জুটবে না প্রধান বিরোধী তকমাও! নিজের বক্তব্যের যুক্তিতে ২০১৪-তে ৪৭, ২০১৯-এ ৫১ পেয়েছে, এবার ২০২৪-এ পঞ্চাশ আসনও পাবে না কংগ্রেস৷
এরপর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি থেকে শুরু কর মণিশঙ্কর আইয়ার কাউকে খোঁচা দিতে ছাড়েন নি মোদি৷ তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এটা কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়৷ কংগ্রেস পাকিস্তানের পাশে দাঁডি়য়ে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে এবং ওদের ক্লিনচিট দিচ্ছে৷ রেবন্ত রেড্ডি যে কেবল পাকিস্তানকে পুলওয়ামা থেকে ক্লিনচিট দিয়েছেন তাই নয়, ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন৷ মোদির বিরোধিতা করতে গিয়ে কংগ্রেস সেনার সাহস নিয়েও পর্যন্ত প্রশ্ন তুলছে৷ আসলে ওদের একটা প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পাকিস্তানতে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ানোর৷ বদলেও কংগ্রেসও পাকিস্তানের থেকে সাহায্য নিচ্ছে৷’
অন্যদিকে, শুক্রবার কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্করের বক্তব্যকে খোঁচা দিয়ে এদিন মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানের পরমাণু বোমা বিক্রির জন্য, দৈন্য কাটাতে অর্থ প্রয়োজন৷ পাকিস্তান পরমাণু বোমা তৈরি করে বিক্রির জন্য৷ কারণ আর্থিক দৈন্য মেটানোই এখন তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ৷
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর মোদিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘শুধু শুধু পাকিস্তানকে চটাবেন না, সমীহা করে চলুন কারণ পাকিস্তানের কাছে পরমানু অস্ত্র আছে৷ সেই অস্ত্র যেকোন সময়ে আমাদের ওপর আছড়ে পড়তে পারে৷’যদিও মণিশঙ্করের নিজের দলই তাঁর মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে৷ দলের নেতা পবন খেরা বলেন, কংগ্রেস মণিশঙ্কর আইয়ারের এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত নয় এবং এটা দলেরও মত নয়৷
প্রথমে সাম পিত্রোদা এবং তার দুদিনের মধ্যে প্রবীণ নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্যকে ঘিরে ভোট বাজারে বেশ অস্বস্তিতে পডে়ছে কংগ্রেস৷ পিত্রোদার মতো আইয়ারের বক্তব্যেও কংগ্রেস দলীয় দূরত্ব বজায় রেখেছে৷ তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে ঢাকতেই বিজেপি ব্যস্ত৷ এদিন মোদি বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু বোমা নিয়ে ভারতবাসীকে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের এই দুর্বল মনোভাবের ফলেই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ আশকারা পেয়েছিল৷ তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস লাগাতারভাবে নিজের দেশের মানুষকেই ভয় দেখানোর চাল চালছে৷ ওরা বলে চলেছে, পাকিস্তান সম্পর্কে সাবধান! ওদের হাতে পরমাণু বোমা আছে৷ মোদীর কথায়, এইসব দুর্বল মানুষ ভারতের জোশকে হত্যা করার চেষ্টা করছে৷ আজ নয়, চিরকাল কংগ্রেসের এটাই স্বভাব৷
অন্যদিকে, রেবন্ত রেড্ডি বলেছিলেন, ‘মোদির কাছে সবটাই রাজনৈতিক৷ ভোটে জেতাটাই শেষ কথা৷ সময় এসেছে মোদি ও বিজেপির হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর৷ যাই জিজ্ঞেস করুন ওরা বলবে ‘জয় শ্রীরাম’৷ পুলওয়ামা হামলা ওরা আটকাতে পারেনি৷ আমাদের গোয়েন্দা সূত্র কী করছিল? কেউ জানে না এয়ারস্ট্রাইক আদৌ হয়েছিল কিনা৷”