এই পাঁচ সংকল্প হল- এক, বিকশিত ভারত। দুই, দাসত্ব থেকে মুক্তি। তিন. উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব। চতুর্থ, ঐক্য। পঞ্চম, নাগরিক কর্তব্য। আগামী ২৫ বছর এই পাঁচ ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
যে ‘পঞ্চসংকল্প’-এর কথা প্রধানমন্ত্রী বলেন সেগুলি হল বিকশিত ভারত, দাসত্ব থেকে মুক্তি উত্তারিধারার নিয়ে গর্ব, একতা ও নাগরিক কর্তব্য পালন।
এই পাঁচ সংকল্প ছাড়াও তিনি পরিবারতন্ত্র নিয়ে তোপ দাগেন। বলেন, “পরিবারতন্ত্র দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করেছে, প্রচুর দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। দুর্নীতির ঘুণে ক্ষয়ে যাচ্ছে দেশ।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, পরিবারতন্ত্রের ফলেই দুর্নীতির এত রমরমা। তাঁর কথায়, “আমাদের দেশকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে…দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ- দুই থেকেই সতর্ক থাকতে হবে আমাদের।”
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ভারতকে টেকনোলজির তুঙ্গে দেখতে চেয়ে ৫জি নিয়ে জোর সওয়াল করেন। তিনি এদিন বলেন, ফাইভ-জি মোবাইল সংযোগ তুলনায় ১০ গুণ দ্রুততার সঙ্গে পরিষেবা দেবে। প্রযুক্তিগতভাবে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এখন কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামে ডিজিটাল কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
ভাষণে তিনি বলেন, এখন আমরা ফাইভ জি যুগের দিকে পা রাখছি। বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। আমরা প্রতিটি গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস যে, ডিজিটাল ভারতের স্বপ্ন গ্রামের পর গ্রামে ছড়িয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামে ডিজিটাল পরিষেবা কেন্দ্রগুলি এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আমি খুশি। দেশের গর্ব যে, ৪ লক্ষ ডিজিটাল উদ্যোক্তা গ্রামে রয়েছে এবং সেখানকার মানুষ তাদের কাছ থেকে পরিষেবা পাচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এই মাসের শুরুতে মুকেশ আম্বানির জিও, সুনীল মিত্তলের ভারতী এয়ারটেল, গৌতম আদানির গ্রুপ এবং ভোডাফোন আইডিয়ার কাছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকায় ফাইভ জি টেলিকম স্পেকট্রাম বিক্রি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’ মন্ত্র দেশের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। পরে অটল বিহারী বাজপেয়ীর ‘জয় বিজ্ঞান’। কিন্তু এখন অমৃতকালের জন্য আরও একটি প্রয়োজন এবং তা হল ‘জয় অনুসন্ধান’ (গবেষণা)। জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান। উদ্ভাবন। আমার তরুণ প্রজন্মের প্রতি আমার আস্থা আছে।’